পাহাড়
---
সে নাকি পাহাড় কিনবে!
কী অদ্ভুত!
তাই না?
আরও অদ্ভূত হল
সে পাহাড়টাকে মুঠোবন্দী করে হাঁটবে।
আমি ভেবে পাই না
তার এমন খেয়াল হল কী করে!
আরও ভেবে পাই না,
ওই অত্ত বড় পাহাড়টা তার হাতে ধরবে কী করে!


সবুজ জলপাই রঙ পাহাড়
একাই ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে,
ওখানে থাকে সবুজের জমিন,
গুহামানবের পদচিহ্ন,
মুনীঋষির আস্তানা নাকি পাহাড়েই থাকে।
যত হিংস্র প্রাণী, শ্বাপদ,ফেরারী যত
সব লুকিয়ে রাখে পাহাড়ি সবুজ।
জলজ্যান্ত এমন একটা পাহাড়
কেমন করে বন্দী হবে হাতে তার!


অবশ্য ইচ্ছে হলে সে পুরো পৃথিবীটাই দখলে নিতে পারে।
পৃথিবীর সবকিছু হাতের মুঠোয় নিয়ে
উল্টেপাল্টে দেখবে।
অসমান,অমসৃণ পৃথিবীর কোথাও সমতা নেই,
নির্ভেজাল সত্যরা কেমন গুমরে কাঁদে,
কেমন করে ক্ষমতা টিকে থাকে,
লয় হয় ভালবাসার, স্বার্থের দ্বন্দ্বে।


ভেবে ভেবে অবশেষে সে বদলে ফেলে মত,
পাহাড়,পৃথিবী কিছুই চাই না তার,
প্রচণ্ড তৃষ্ণায় আকণ্ঠ নিঁখুত জল চাই তার,
সবুজ বটবৃক্ষ ফেরত পেলেই তার চলে,
জঞ্জাল পড়ে থাক দূরে।


অবশেষে পাহাড়টা অবিক্রীত থেকে যায়
কিন্তু ন্যায্য পাওনা ছাড়ে না হিস্যাদারেরা,
পাহাড় তাই তলে তলে ছিন্নভিন্ন, ক্ষয়ে যায়।
পুরনো পৃথিবী সবকিছু নিয়ে চলে আগের মতন,
পুরনো কিছু থাকে সাথে,
কিছু নতুন করে জন্ম দেয়,
বিবশ পৃথিবী ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়,
পৃথিবীর ক্লান্তি নেই যেন।
২৩/০২/২০