প্রহরের শেষে
----


তোমার সাথে হাঁটতে গিয়ে কখনই মনে হয়নি
আমার,আমি এতটুকু ক্লান্ত হয়েছি।
দুর্নিবার বেগে বয়ে চলেছে কথার ফোয়ারা
কখনই হয়নি পরিশ্রান্ত আমার কর্ণযুগল,
বৃত্তবন্দী ভালোলাগা হয়নি চ্যুত কোনও বিভ্রমে।
পৌষের গন্ধ মাতাল করে মন,
উন্মনা করে হরিৎ বর্ণ, হরিৎ শষ্যদানায়
শষ্য লুকিয়ে থাকে শৈল্পিক অবয়বে।
লুকিয়ে থাকে প্রসূত পুষ্প যেমন
গহীন অরণ্য আধারে,
আর হালকা মেঘের আড়ালে আধখানা চাঁদ।
তেমনি তোমার কথার কাকলীতে লুকানো
শত জনমের কাঙ্ক্ষিত, সতৃষ্ণ অন্বেষিত অনুপম গাঁথা।
মুগ্ধ প্রহর ক্ষয় হয়, লীন হয় ত্বরান্বিত অকস্মাৎ,
অতঃপর কিছুটা সময় হয়ে রয় স্থির
জলকম্পন ভুলে যায় হিল্লোল,
ভেঙে পড়ে পাড় প্রবাহিণীর।
অসংখ্য পুষ্পরেণু সৌরভ ভুলে
নুয়ে পড়ে,ঝরে পড়ে
মুগ্ধ প্রহরের শেষ লগ্নে।
মৃদু ইশারায় বিদায়বার্তা আসে,পথ ফুরিয়ে যায়,
পথের প্রান্তে দাড়িয়ে দুইটি বাঁক-
হেঁটে চলো তুমি, একটি বাঁকে হয় নির্গমন তোমার
আমি হারাই অন্যবাঁকে।
ক্লান্তিরা নির্ভয়ে নেমে আসে নিঃশব্দে,
জড়িত হয় তীব্র কলহে
আর দখল করে সর্বস্ব আমার,আমি নিঃশেষিত হই,
পীড়িত, অবসন্ন মন তখনই বুঝে অভাব কাকে বলে,
ক্লান্তি কাকে বলে,
আমি ক্লান্ত হই যখন থেমে যাই, সময় বাজিয়ে দেয়
শেষ ঘন্টাধ্বনি তার সময়ের শেষে।


০৩/১২/২০১৮