সেই সকালে সেই মেয়েটি
---
সেই সকালে একটি ফুলের হাসি ছিলো,
সেই সকালে একটি নতুন ভোর ছিলো,
সেই সকালে ভোরের সাথে আলো ছিলো,
সেই সকালে আলোর সাথে ফুলও ছিলো।
ফুলের সাথে হাসি ছিলো,
হাসির সাথে বাঁশি ছিলো,
বাঁশি তাকে ডেকেছিলো,
কালযমুনায় তখন ভীষণ ঢেউ ছিলো।


নিষেধ বারণ খুব ছিলো,
মেয়েটা কি তা শুনেছিলো?
উড়িয়ে আঁচল উতল মেঘে ভাসছিলো,
ভীষণ বেগে আপন মনে ছুটছিলো,
ফুলের বনে সাপ ছিলো,
সাপে তীব্র বিষ ছিলো,
মেয়ের পিছু সাপটিও যে ছুটছিলো,
মেয়েটি কি তা দেখছিলো?


তীব্র বিষে মেয়েটির মুখ নীল ছিলো,
বাঁশি তবু কদমডালে বাজছিলো,
কেউ জানে না মেয়েটির কি দোষ ছিলো,
কেন মেয়ে ভোরের আলো দেখে ছিলি?
কেন তুই ফুলকে ভালোবেসে ছিলি?
কেন তুই ভোরের আলোয় জেগে ছিলি?
কেন তুই আপন মনে ভেসে ছিলি?
বলবো কি আর আমি তোকে,
বোবা কাতর ভীষণ শোকে,
বহু যুগের ব্যথা বুকে,
তাই তো নিষেধ ছিলো মুখে।


পৃথিবীটা নয় সোজা,
সহজে কিছু না যায় বোঝা,
ভালোর মাঝেই মন্দ খোঁজা,
মন্দটাকেই করে পূজা,
মেয়ে তুই ভালো থাকিস,
বন্ধ চোখেই স্বপ্ন আঁকিস,
চলে গিয়েই ভালো রাখিস,
যতই দাগ গায়ে মাখিস।


এই পৃথিবী রাখবে মনে তুই যে ছিলি,
আলোর সাথে ফুলের সাথে মিশে ছিলি,
হাসির সাথে সবার সাথে তুইও ছিলি,
এই পৃথিবীর সব কিছু নিজের ভেবে ছিলি,
ঘাসের বুকেই তোর শয্যা
দিয়ে গেলি অনেক লজ্জা
যারা উড়াই ভালোর ধ্বজা
সবার মুখেই চুনকালি তুই দিয়ে গেলি।
১৬/৪/১৯