সবাই ঘুমে
---
কখনও তুমি কেবল শুনেই যাবে
কখনও দ্বার রুদ্ধ করে
শুনবে অন্ধকারের গান।
কখনও তুমি ভুলে যাবে
কে তুমি, তুমি কে!


কখনও তোমার চোখে
থাকবে আঁকা প্রশ্নবোধক চিহ্ন
অবয়বে ভাবলেশহীন তুমি
যেন জড়বৎ পুতুল,
বেখেয়ালে ভেসে চলা তরী।


তোমার তো কোন ইচ্ছে থাকতে নেই!
তোমার প্রাণ খুলে হাসতে নেই,
কেঁদে ভাসাতে নেই নেত্রযুগল,
পাছে কিঞ্চিৎ ভাবের প্রকাশে
সবকিছু হযবরল হয় পরিপাটি ক্ষেত্রে।


আজকাল কবিতার বাড়ি যাই না আর,
ওখানে আগের মত মসৃণ মাঠ নেই,
নেই নাটাই হাতে ঘুড়ি উড়ানোর সুখ,
কাঁটানটের দুর্দান্ত প্রতাপে রক্তাক্ত পদযুগল
উপশমহীন ক্ষতে তীব্র কষ্টের নির্ঘুম রাত।


তবে স্বপ্ন দেখতে পারে তুমি
জনশূন্য মরুপ্রান্তরে একাকী ছুটো
সাথে টগবগ ঘোড়া, গন্তব্য অজানা,
মনে মনে উড়িয়ে কিছু শ্বেতপক্ষী
কল্পনায় কাটো অবাধ সাঁতার।


আমাদের ঘুড়িগুলো ছিঁড়ে গেছে
একা থাকার এই অবেলায়,
থরে থরে জমে আছে জঞ্জালের স্তুপ
তবু চুপিচুপি ডাকে, 'জেগে আছো?'
সব নিরুত্তর, সবাই এখন ঘুমে।
২৮/১২/২৩