তোমার রচিত জটিল পৃথিবীতে
-----
মনে করো আমি আর নেই,
কোথাও আমি আর নেই,
তোমার রচিত জটিল পৃথিবীতে
আমি আর নেই!
আসলে ছিলাম কি কখনও?


ঘুণে ধরা মৃত আসবাবপত্রের জঞ্জালের মতো,
তোমার ঘরের আরশোলা আর টিকটিকির মতো
বড় বেহায়া আর নির্লজ্জ ছিলো আমার উপস্থিতি।
পায়ে পায়ে দলে যাওয়া ঘাসের শিশিরের মতো
আমি তোমার কাছে পড়ে থাকতাম,
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনির মতো আর্তনাদে
আমার পৃথিবী অবিরত নীরব নিনাদে বাজতো।


তুমি টের পাওনি কখনও,
পাশাপাশি দুটো স্রোত বয়ে গেলো বৃথা,
হলো না কোন সন্ধি কোথাও,
একটি কবিতা রইলো পড়ে বড় অযতনে,
পড়লো না কেউ, কী ছিলো তাতে লেখা।
একটি স্বপ্ন আর অনেক কথা রইলো বন্দী
অবগুণ্ঠনে, হলো না উন্মোচন চাঁদের হাসিতে,
বড় অপাঙক্তেয়  ছিলেম গো আমি,
দুঃখ রজনী কাটতো দৃঢ় লয়ে।


তারপর আমি শুনি সেই অসীমের ডাক,
দূরপারে বেজে চলে অবিরাম নাম ধরে বাঁশি,
দ্বিধাহীন আমি নিঃসঙ্কোচে পথে নেমে আসি
পিছুটান নেই কোন, নেই কোন মায়ার বাঁধন,
জগতে মায়া নেই,করুণা থাকে কিছুটা হয়তো বা,
সব দলে, সব ফেলে আমি চলি মেঘের ডানায়,
সব পড়ে থাক, সব মুছে যাক
যেটুকু ছিলো চিহ্ন আমার।


আল্পনার রঙ থাকে না চিরদিন,
ওতো নয় রঙ মনের
সাদাকালো এই আমি কোথাও আর নেই এখন,
তুমি থাকো দৃষ্টি মেলে, চেনা পায়ের চঞ্চল নৃত্যে
হবে না ক্ষয় তোমার প্রহর আর,
সুখে থেকো তুমি আমি বিহীন
তোমার রচিত সুন্দর জটিল পৃথিবীতে।
৮/৫/১৯