তুমি
---
তুমি হইছ মেঘ,
আসমানে পেঁজা তুলার মতন
খালি ভাসতাছ আর ভাসতাছ।
তুমি হইছ বাতাস
তোমার গতি রয় না স্থির,
আউলা হইয়া ইচ্ছা মতন যেদিক খুশি
খালি ঘুরতাছ আর ঘুরতাছ।
এই দুইন্যাতে কে আছে তোমারে বান্ধে?
তোমারে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না,
কার সাধ্য তোমারে বান্ধে?
শীত মৌসুমের পঙ্খী যেন তুমি
খালি এই দেশ ছাইড়া ওই দেশে
উড়াল দিয়া আড়াল হও।
যদি তুমি নদী হইতা, হইতা সুমুদ্দুর
কিংবা হইতা যদি মাটি!
বুঝতা তুমি যন্ত্রণা থাকে বান্ধা
কোন বন্দরের নোঙ্গরে।
জোনাক জ্বলে রাইতের যেই প্রহরে,
যেই প্রহরে নিশি কাইন্দা কানা হয়,
যেই প্রহরে ফুল বইতে নারে সুবাস তার,
সেই সময় টিনের চালে বইয়া থাকে
রাইত জাগইন্যা রাতচরা পঙ্খী,
যেন আমার বুকের ভেতর মরণ ছোবল মারে।
ডরে আমার আত্মা জইমা যায়,
গলার ভেতর কি যেন আটকাই থাকে।
আমি বুঝি তখন তুমি নিরুদ্দেশে যাও,
আমার তো যাওনের উপায় নাই,
মাটি হইছি, হইছি জল ভরা সুমুদ্দুর।
বুকের ভেতর মায়া,  চক্ষে আছে জল
ভরা কলস চক্ষে লইয়া আমি দিন গুনি,
কবে আইব তুফান
কবে ভাসাইব নাও, শূন্য ভরা জলে।
যদি তোমার হদীস মিলত!
তোামারে কৌটায় ভইরা মাইনসে
জ্বালাইত আলো,
যে অন্তরে নিত্যি আইন্ধার কান্দে,
সেইখানে হাসত চান্দের আলো।
তুমি হইছ বিজলির চমক,
চক্ষের পলকে যাও পুড়াইয়া,
পোড়ামাটি কলঙ্ক মাইখা
সাক্ষী হয় তোমার  তিলেক কালের।
১৯/০৫/২১