বাজাও বীণা ডাকলে যদি এই অবেলায় দীঘির পাড়ে সবুজ ঘাসে,
বিছাও আঁচল, বসতে দাও হে দেখতে দাওগো নয়ন ভরে, জুড়াও
বুকের দহন জ্বালা শীতল ধারা বইয়ে দাও ঠোঁটের ছোঁয়ায় চোখের
তারায় উঠুক নেচে আদিম কোন বর্ণমালা পড়তে চাই শরমশোভা।


এমন একটু ছুঁইয়ে দিলে উপচে পড়ে নদীর ধারা, সাঁতার কাটার
প্রবনতা যায় বেড়ে, বাঁশপাতার চিরল ফাঁকে চুঁইয়ে পড়ে বৃষ্টিধারা।
সাঁঝের বেলা জোনাক জ্বলে ঝিঁঝিঁ ডাকে, তুলসীতলায় ধুপ জ্বলে,
দুধশাড়ীতে রাঙ্গাবৌদি প্রণাম সারে শিব ঠাকুরের, উলুধ্বনি শুনি।


মন আনচান পুজার ঘরে ঠাকুর মা’র মন্ত্রজপ, হরে হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ,
আড়চোখে চেয়ে তখন কি বুঝালে? কি মানত করলে মায়ের কাছে?
এই জন্মে না পেলেও পরের জন্মে মিলন যেন ভাগ্যে থাকে, বাড়ীর
পাশে হয় যেন বাড়ী, পুতুল খেলার সাথী হবে, প্রেম হবে বসত হবে।


এখন তবে বাজাও বীণা ভাবনা কিসের ঠাকুরতো আছে, মা আছে আর
ভোম ভোলানাথ, দিব্যদৃষ্টিতে নিচ্ছে দেখে পরশ পাথর কোন ছোঁয়াতে!
------------------ ০ -----------------------
১৩ নভেম্বর ২০২১, ২৮ কার্তিক ১৪২৮, শনিবার, রাত:১১:১৭, কাব্যকুঞ্জ।
(স্বত্ত সংরক্ষিত)