কতোটুকু চিনিয়াছি তাহারে, চাহিয়াছি কতোটুকু জানিতে বা বুঝিতে!
জানিবার ইচ্ছেটুকু ছিল কি অন্তরের আঙ্গিনায়? স্মৃতির  বকুল বা
শিউলি, মাধবী, কামিনীদের মতো নিরন্তর সুবাসিত; অধীর আগ্রহে!
নিজেকে জানিবার পূর্বে কি তবে চাহিয়াছি জানিতে তাহাকে অকারণ!


সক্রেটিস তবে কেনো বলিয়াছিল, ‘নিজেকে জানো’, কতোটা সহজ বলো
নিজের মতো করে নিজেকে জানিয়া লওয়া ; অপরের চেয়ে বেশী বেশী
নিজেকে সংশোধন করা! গলুই ভাঙ্গিয়া পড়িলে তবু নৌকা ছলছল
জোয়ারে ভাসিয়া যায়, স্বপ্নভাঙ্গাবুকে কে পারে পৌঁছাতে কাঙ্খিত গন্তব্যে!


আপনার সবটা ছাড়িয়া শরতের শাদা মেঘ যেমন উড়িয়া যায়,
আকাশের গায়ে ফেলিয়া বকের পালক; চাঁদের সাম্পান পড়িয়া থাকে
জ্যোৎস্না বুকে নিয়া, মাঘীপূর্ণিমা দর্শনে উন্মুখ লাস্যময়ী তারার মেয়ে।
শাপলার বুকে জমিতে থাকে রাতের শিশির; শিরিষ-ডালে ডাকে পেঁচা।


ভাঙ্গা বুকের বারান্দায় স্তুপিকৃত স্মৃতির শব; মরা স্বপ্নের গলিত
দেহাবশেষ, নিদ্রাহীন রাতের দূর্বিসহ ক্লান্তি জমা হয় অনিবার!
----------------- ০ ------------------
১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৪ মাঘ ১৪২৮, সকাল:০৩:৩৬, মঙ্গলবার, কাব্যকুঞ্জ,  গোপালগঞ্জ,
(স্বত্ত সংরক্ষিত)