ব্যস্ততার সময়টুকু কখনও নিজের করে অধিকারে নিতে চাইনি, আজও না,
ও থাক। কৈফিয়ৎ চাই নি কারো কাছে কোনদিন, কি হয়েছিল বা কি হবে
ও নিয়ে ভাবনাও কম। যা হবার তা হবে; তাতে কারো হাত নেই চিরন্তন।
মুখে যেমন বলি ভিতর থেকেও বিশ্বাস তেমনই; কৃত্রিমতা খুব অপছন্দনীয়।


মানুষ মানুষকে বুঝতে চায় খুব করে অথচ নিজেকে বুঝতে চায় না ভুলেও,
ওখানেই ‍কৃত্রিমতার দেওয়াল গড়ে উঠে নিজের ভুলগুলো লুকাতে সর্বক্ষন!
অন্যকে বুঝতে কোন মাথাব্যথা নেই এখন; ন্যাড়া নাকি বেলতলা একবারই
যায়। অবুঝমন বার বার মাথা ফাটলেও বুঝতে চায় না জগতের জালচক্র।


‘সীতা ’ মায়ের সোনার হরিণ শাবক দিয়েছে জঙ্গলের সীমানা পেরিয়ে সভ্য
লোকালয়ে। উর্দ্ধশ্বাসে ছুটাছুটি যে দিকে চোখ যায়; মেরুদন্ড বাকা হয়ে
গেলেও মৃত্যুপূর্ব মরণেও কোন বিপত্তি নেই; স্বার্থের ঢোলে বাড়ি দিয়ে বোল
হরি উচ্চারণে ঘি-চন্দনে চিতায় উলুধ্বনি দিতে। যারা পারে না, মধ্যবিত্ত।


এভাবেই মনের পাড় ভেঙ্গে ভেঙ্গে গভীরতা বেড়েছে চোখের জলে, বুকের
দীর্ঘ্যশ্বাসে ঝড়ের তান্ডব; ভেঙ্গে গেলেও বাকা হতে পারব না কোনদিনও।
============== =============
০৮ জুন ২০১৬, বুধবার