নগন্য,----- অতি নগন্য দূর্বাঘাস,
সেও বেঁচে থাকতে চায় পৃথিবীতে
ভালোবাসে সোনালী রোদ, রিমঝিম বৃষ্টি
আর ঝলমলে তারায় ভরা রাতের আকাশ


কামনার ফুল ফোটাতে অপারগ দূর্বাঘাস
তাই কেউ ফিরেও তাকায় না ওর দিকে
কাছে ঘেঁষে না মৌমাছির দল
জল ঢালে না কেউ ওর গোঁড়ায়
প্রাঙ্গণের ফুল বাগান থেকে উপড়ে ফেলে
দেয় দূরে। তবুও বেঁচে থাকে সে ------
নিতান্ত অবজ্ঞায়, ------ অবহেলায়!


জীবনে পায় নি কখনো স্নেহের পরশ
গরু ছাগলে মুড়িয়ে দেয় রোজ,
তবুও নাছোড়বান্দা অন্তহীন প্রাণ
ক্ষত বিক্ষত বুকে ধরে রাখে শিশির বিন্দু
নিঃশেষে গেয়ে যায় জীবনের জয়গান।


আঙিনা ছেড়ে চলে যায় অনেক দূরে
উদাম পাহাড়ের পাথুরে মাটিতেই
শিকড় পেয়ে যায় জীবনের রস
মাথার 'পরে উদার আকাশ,
চারদিকে অন্তহীন বাতাস
তাই লোকচক্ষুর আড়ালেই তিলে তিলে
বেমানান বেড়ে উঠে অবাঞ্ছিত দূর্বাঘাস!


বিকশিত সভ্যতা থাবা বসায় সেখানেও
নিড়ানি কিংবা বুলডোজারের নির্দয় সাঁড়াশিতে
উৎপাটিত শিকড়, ক্ষতবিক্ষত বুকে
তদুপরি স্রেফ মাটিকে আঁকড়ে ধরে
বেঁচে থাকতে চায় নাছোড়বান্দা দূর্বাঘাস!
কে জানে, ওটা কি ওর উদ্ধত স্পর্ধাস্পর্ধা!
নাকি বেঁচে থাকার, ---- শুধু বেঁচে থাকার দূরন্ত প্রয়াস?
        
                                         ---- খছরুজ্জামান্
                                           ১০/০৯/২০২১ ইং