১.
নামটা হারিয়ে গেছে পাশা খেলার রাতে। পুঁটি পাতা হ’য়ে ডাকছি তোমায় হে আমার বাল্যসখা ছাগল ছানারা। হাঁটের মাঝে বিকিকিনিরত কৃষাণী বোনটি --এক সাথে কত পথ উড়িয়েছি--
২.
হারিয়ে ফেলেছি চলবিদ্যুৎ। মোমবাতি ও চেরাগ জ্বালাবার সুতা সরিয়ে রেখেছো। কেটে যাচ্ছে মৌপ্রহর; মৌমাছিরা মরে গেছে কবেই সরিষার ক্ষেতে--অনিয়মতান্ত্রিক কিটনাশকে-
৩.
কাল ভোর হলে নদীর ছবি আঁকব। নদীর নাভিতে রেখে এসেছি সাঁতার। এখনো ভোরের বাগানে হল্লা করে পাতিহাঁস কাল। মা আমার কাঁচাআম-দুধ মেখে আজও অপেক্ষা করে স্কুলফেরত বিকেলে--
৪.
কুঠারের কোপে কত সাবাড় হলো বাগান। মাটির ডিবি হতে মাটি ও সিমেন্ট। তোমাদের ভাস্কর্য বানানো হলো না জনকজননী। জানোই তো শিল্পের আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে চৌদ্দ ডিসেম্বরে...
৫.
তোমার ঘাড়ে ও গর্দানে চাপাতির কোপ। হে আমার সহোদর আমি তো কাটা গলা নিয়ে ধর্না দিচ্ছি সচিব ও সম্পাদকের টেবিলে-মহলে।
৬.
বাইরে কুয়াশা বৃষ্টির শব্দ! শব্দের গভীরে মাছের সাঁতার। মাছেরা হারিয়েছে সমুদ্রের পথ। সরকার খাল খনন কর্মসূচী শুরু করবে আবার...
৭.
মা-বাবা শুয়ে আছে যৌথ কবরে। সময় হলে ছেলেরাও শোবে। মেয়েদের নাকি কবর কিনে নিতে হবে। আসো বোনেরা একই কেটলিতে বিগলিত হই। পিতার কবরে বাসক গাছের গোড়ায় ঢালি মেয়েজল।
৮.
শব্দের ঝাঁকুনিতে তোমাকে ভুলে গেছি। পাশবালিশে শুয়ে থাকা কথা ছুঁয়ে দেখি তার গায়ে নক্ষত্রের গুড়ো....