দ্রৌপদী
খাতুনে জান্নাত
........................
১.
মনের অজান্তে ছোটে কালান্তরে দ্রৌপদী মন
আলোছায়া হাতে দূরে দাঁড়ায় এস্রাজ
অলঙ্কার নাই পেল ছোটখাটো রূপকল্প হোক
বেদানার লালে কার অস্ফুট ক্রন্দনের দাগ
হোমলোকে হোম শিখা পরিযায়ী দিন উড়ে যায়
পাখার বাতাসে ঋতু, বাহুর আলয়ে শৈশব
দিন উড়ে দিন যায় চেনা আর হলো কৈ বেলা!
২.
কতকাল হয়ে গেল চেনা ছিল সেই কতকাল
নূপুরের ধ্বনি আর ঘাসফুল ইতিউতি স্তব
হিজলের বন ভরা স্নেহলতা কালের শিশির
কষ্ট কেষ্ট দুই ছিল ছায়া ও আলোর প্রহরা
ওপারের কূল হতে কার টানা চোখের আকুতি!
টুপ করে ছুঁয়ে যাওয়া দিনাতিকালের সরল যোজন
এখন এ-বেলা যেন পড়ে গেছে ধরা!
৩.
বাতাসে আলোর কণা যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো
পাতারা বিবর্ণ বাতাসে অজীর্ণতার ঢেউ খেলে
আবদ্ধ কালের জ্বর, চারপাশে লাশ আর লাশ
মায়েরা জন্ম দিয়ে কেন যেন হয়ে যায় নারী!
এখন সভ্যতার চড়া প্রাচীন প্রস্তর যুগ নয়
কেন হয় ছোঁড়াছুঁড়ি মানবের জীবন মানবে!