গোধূলি-রাঙা ধূলি
গান শুনতে শুনতে মিশে যাচ্ছি গোধূলি বেলায়
বাইরে ঝরছে অজস্র বৃষ্টির আহ্বান
কালের অধরে রেখেছি যে কত আঙুলের ছাপ
আবিরমাখা কাব্যকথন...
তুমি কি শুনছ?
উত্তালতার ঐকতান
দৈনন্দিনে মেশে ধূসর হয়ে যায়
তুমি কি দেখছ সেসব চিঠির কারুকাজ...
যৌবন রাঙানো মান অভিমান দিন
সুপ্ত সময়টাকে অবগুণ্ঠনে মুড়ে হারানো নূপুরের ক্রন্দন
আমরা চিনেছি নুড়ি ও পাথরের গান
বিষন্ন গাঙচিলের বিদগ্ধ দুপুর ঢেউ খেলে চলে যায় চরাঞ্চলের দিকে
ঘুরছে ঘূর্ণিতে পাতিহাঁসকাল
কচুরিপানার বেগুনী মিশে আছে চোখের পাতায়
নাব্যতায় কত কপোতাক্ষ সাগর হয়েছে
তুমি কি দেখছ?
ঝর্ণার উৎস চিনবে বলে গ্রামের ঝিনুক মেয়ে পা ফেলছিল
খাড়াইয়ে সন্তর্পণে
সেসব পায়ের ছাপ
তোমার সতর্ক বার্তা
মনে রেখেছে কি সে পাহাড়, সে খরস্রোতা পাহাড়ী উর্বশী?
সে বন বনান্তর লিখে রেখেছে পাতার শিরা উপশিরায়
পথ খুঁজে ফেরা বাউল গীত...
নির্মীলিত পাহাড়পুরের বাতাস
মেঘনার পাড় ছুঁয়েহেঁটে যাওয়া প্রেমের সংগীত
তুমি কি রেখেছো ধরে পথ হারানো সকল সুন্দর?