বিরহ-বৃষ্টি
খাতুনে জান্নাত
......................
জীবনের পেন্ডুলামে ঝুলে থাকে আহত ইচ্ছার সন্ধি
ছুটে আসে এলোমেলো বাতাস পুব থেকে পশ্চিমে
কতগুলো বিষাদ যেন গড়িয়ে পড়ে স্রোতে
সূর্যের মতো এক টুকরো বাসনা আমাদের ছবি ঘরে
নাচঘরে তখনো নেচে চলছে বিরহী বিউগল...


আমরা কি হারিয়ে ফেলেছিলাম প্রিয় আয়না!


তৈরি করা বৃত্তে কাঁপছে তাক তাক শ্যাওলার ছায়া
এক পশলা আশার প্রত্যাশা
একমুঠো ধান তোলার গান
প্রতিটি প্রতিবিম্ব আলাদা প্রতিটি ঢেউয়ের রোমন্থনের মতো
সুর ও সংলাপ ঘষে নতুন পৃষ্ঠা-- খুলে দেয় নতুন জানালা


গাছ তলে খেজুর রস পাত্রে পড়ছে বেশ শব্দ করে
কুড়োতে যাইনি কতকাল ঝড়ে থুবড়ে পড়া ভীত পাখির ছানা
ছেঁড়া ছেঁড়া কলা পাতা শূন্য বাতাসে
কলার থোড়ের মধু
খুলে খুলে পড়ছে শৈশবধূলি মাখা থোড়ের সাম্পান...
বনের আনাচে কানাচে
কি কথা বলে আজও হারিয়ে ফেলা অশ্বের খুর,
মৃত প্রাণীর জীবাশ্ম,
খুঁজতে যাইনি সঙ্গী হারানো হরিণের আর্তনাদ!
কঙ্কর ভেঙে উড়ে যায় কালো মেঘের হাসি
কালো মেয়ের কালো চুল বেয়ে নামে বছরের প্রথম বৃষ্টি
ঝিঁঝিঁ পোকারা গান ধরেছিল কয়েকটি দিন-
পরিচিত উইয়ের ডিবি বেয়ে উড়ে আসে ডানাওয়ালা উই...


এসব গল্পের আভাস বিরহের হরিফুল
আর জোনাকির হাত ধরে রাতের মানচিত্র  ঠিকই চিনে নেয়া যায়...