রোদের ঈশ্বর
খাতুনে জান্নাত
..................


বার বার বসি রঙভেজা রাত-রেস্তোরায়
গ্লাসের টুংটাং পিরিচ-চামচ কাটে
যুগ্নতার জড় বোজ গহীন-গ্রহণ।
অথবা নদীর ধারে ফেনায়িত ধুম্রতায়
বিকেলের নম্রতা ঝিনুকের কোলের কাছে নুয়ে পড়লে
জেগে ওঠে শব্দভ্রূণ---
পয়ারে লিখিত হয় ভ্রমণের আদি ধারাপাত।


আমরাই ছড়িয়েছি ইথারে ইথারে কতকাল ব্যাপী
কালের যোজন
বাটুই ফুলের জ্যোতি, সোনালুর ঐকতান, ব্রম্মান্ডের ব্রহ্মসংগীত--
এ বেলায় ছুঁয়ে দেখি হরিতকী, বেগময় সিঁড়ি
পিন্ডরার ডাকবাক্স হ’য়ে হলুদ পাতার চিঠি
বহুদূরে ডাক দেয় আয় আয় আয়।


দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে এক হয়ে যাই
পুরাকালের জলস্রোত, রক্তপিঞ্জর, নীল নীল ক্ষত
চাপাতির হাতে লেখকের প্রাণ-হরণ দেখা
দলছুট পাখির রোদন,
যুদ্ধবাজের ডেকে আনা মন্বন্তর পার হয়ে
আশায় জেগে থাকে সময়ের দাঁড় বাওয়া রোদের ঈশ্বর!