কি রকম বেঁচে আছি?–জীবন সমুদ্র থেকে
উপরে মুখোশের আবরণ, নীল বেদনায় ভারি অন্তস্থল
সময় যায় ক্রন্দন, শুধু আড়াল।
মুখ জুড়ে অট্টহাসি, শরীরে একবিংশ শতাব্দী
ভেতরে একরকম ম্রিয়মাণ!
অন্ধকার শুধু জানে, আলো ফোঁটায় হাসি
শিশিরের নরম জলে যেমন সূর্যমুখী!
পূবের আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল, সূর্যের অবিরাম কিরণ
সকলের মনে আনন্দধ্বনি।সূর্যের বুক পুড়ে—
চাঁদ পায় আলো, তারা-নক্ষত্র জ্বলে ঝিকিমিকি
অথচ কবিতায় সূর্য অশুভ!
সারাক্ষণ ধূলো জড়িয়ে, রাস্তার মাথায় রাস্তা
ব্যস্ত কোলাহল, অসাবধানতায় জেব্রা ক্রসিং পার
রাতের আড়ালে সেই খুব চেনা নগর লাগে প্রেতবৎ
শরৎ এর শেষ সন্ধ্যায় রেলিঙ ধরে প্রথম চুম্বন
লিলুয়া বাতাসে দুই ওষ্ঠে আচমকা কম্পন
সবই এখন নির্জীব, শরৎ ভীষণ নিষ্ঠুর!