দেখোতো শান্ত সাহেব
আমার খোঁজে কেউ আসতে পারে ,
দাঁড়াতে বলবে কিছুক্ষন –
আমি যাচ্ছি খেতে ঐ ঘরে ।


কেউ এসেছিল নাকি শান্ত সাহেব ?
নাতো কেউ আসে নি...
কেউ আপনাকে খোঁজেনি...
আমিতো বাহিরেই – ছিলাম দাঁড়ানো ।


তবে দয়া করে আর একটু দাঁড়াও ?
আমি একটু ছাদের উপর থেকে আসি
এই মিঞা আপনার দোকানে অনেক কাস্টমার
মনে হয় আপনার পরিচিত
নতুন পোশাক তাদের গায়ে জড়ানো ।


তোমরা এসেছো তবে ?
আমি কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি
যে তুমি তোমার কথা রাখবে ।


আসাই হতোনা যদি রপ্তানি যাইতাম
রপ্তানি যাইনি তো – তাই আঁসলাম ,
তোমার ছোট বোন ও কি সাথে যাবে নাকি ?
হ্যাঁ ও—ও সাথে যাবে ,
ও না গেলে মা আমাকে একা যেতে দিবে না ।


আমি অবশ্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম
ভেবে নিয়েছি তুমি আসবে না ।
তার পরে ও ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছি ...
দেখি নয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা কর...
আর তোমরা দেখি আমার ঘরে ।


পিছনের তাকে খারাপ ক্যাসেট
একটি প্যাকে আটকানো হল তাইঁ ।
এ গুলো কি করবেন ?
ফেরত দিতে হবে ।
এই নাও হাতে রাখো –
পরে মনে থাকবে না একেবারেই –।


বাহিরে দাঁড়ীয়ে আছে  বন্ধুরা সব;
যেন শিল্পি আমার বিয়ে করা স্ত্রী ;
দাঁড়ীয়ে দাঁড়ীয়ে দেখছে
কোথায় যাবে - কি করবে ...
প্রশ্ন রাখছে – সে সব ।


এই নাও এগুলো ধরো ?
নয়তো যাওয়ার সময় ভূলে যাবো ,
ভূলে  কি থেকে যায়... কে জানে ?
বাহিরে বের হও –
আমি এখন দোকান আটকাবো ।


মনের দুয়ারে ভাবনাটা এসে দাঁড়ালো
কিসে  যাবো রিক্সা নাকি বাসে ?
রিক্সার চেয়ে - বাসেই ভাল
দেখবে না কেউ ,
জীবন টা যাবে না সর্বনাশে ।


দু - জন  দু – সিটে
মাঝ পথে আমি আছি দাঁড়িয়ে...
এই যে ভাই আপনার ভারাটা দিন
চার টাকা হাতে দিলাম ধরিয়ে ।


ক’জন ভাই আপনারা ?
দুই - আর – এক – এ তিন ,
তিন টাকা রাখেন রে ভাই –
এক টাকা দিন  ।


এরে চাচা আপনার ভাড়া ?
চাচা আপনার ভাড়া দিন তারাতারি ,
বাবা আমার যে , ভাড়া নেই;
আমি মুসাফির - দেশ সফর করি ।


মনে মনে ভাবলাম
উঁনি হলেন ভিক্ষুক ,
ঘুরে বেড়ায় অন্যর দ্বারে – দ্বারে ,
তবে কেন ওনার লাগবে ভাড়া
এই কন্ট্রাক্টর যাও
সবার ভাড়া দিতে হয় নারে ।


               -সমাপ্ত-
তারিখ : ০৭-0২-২০০৫ ।