পথে যেতে যেতে
 
‘পাহাড়ে উঠতে উঠতে দেখি,
মাথার উপর চলেছে সারাটা পথ
ঘন নীল আকাশ আর সাদা মেঘ।
দেখে মনে হয় মা যশোধরার কোলে
শুয়ে নীলতনু বালগোপাল মেঘের দিকে
হাত বাড়িয়ে তুলে আনে ননী-
এক মেঘ যায় অন্য মেঘ আসে
কেউ থাকে না। যেন আশা দেয়,
আমি আবার আসবো, তোমার কাছে
থাকবো। কিন্তু, কথা রাখে না।
এক সময় বালগোপালও নেই,
ননীও নেই। চারিদিকে অন্ধকার।
 
অন্ধকার পিঠে হাত রাখে। বলে,
দেখলে তো, ওদের কাণ্ড!
আমি কিন্তু আলোর ছায়া হয়ে
সব সময় আছি। সব সময়।
 
মোবাইলে দিকে তাকিয়ে দেখি।
চার্জ ফুরিয়ে গেছে। সেও অন্ধকার।’
 

আজগুবি গপ্প ভালো লাগলো না তো?
আমারই দোষ। ঠিক করে বানাতে পারলাম না।
চলে যেও না। পরের গপ্পটা শোনো।
 
‘পাহাড়ে নয়। এবার তীর্থের পথে,
রামেশ্বরমের মন্দিরে। চারদিকে ভিখারি,
সারি সারি বসে। আর এক দেবদাসী
নৃত্যের ভঙ্গিমায় হঠাৎ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে।
তীর্থযাত্রী আমি ছাড়া আর কেউ নেই।


দেবদাসী বলে, একা মন্দির আগলে
এতদিন তোমার আশায় আছি।
 
তোমরা নিশ্চয়ই এবার মজা পাচ্ছো।
হয়তো কেউ জিজ্ঞাসা করবে, তারপর?
 
দেবদাসীর ঘরে আমি সারা জীবন
কাটিয়ে দিলাম, ওর প্রেমদাস হয়ে।
দাসত্ব নিয়েই জন্মেছিলাম, দাসত্বেই
জীবনের পথ হাঁটা শেষ করলাম।’
 
#পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি। 


সুপ্রভাত।
🌺🌺