রোদ্দুর
 
সকালে “মিউ মিউ” আওয়াজে ঘুম ভাঙে,
দেখি জানালা থেকে বিড়ালটা লাফ দিলো সূর্যের দিকে,
জানালার কাছে গিয়ে নীচে তাকিয়ে দেখি,
বিড়ালটা বেশ কয়েকবার লাফালো,
তারপর কয়েক থাবা রোদ্দুর আমার দিকে ছুড়ে দিলো,
আমার থাবার মধ্যে তখন অনেক রোদ্দুর,
আমি ছাদের চিলেকোঠায় গিয়ে পায়রাগুলোর
পাখা রোদ্দুরে মাখিয়ে দিলাম।
এ যেন রিলে রেস।
বোঝদার পায়রাগুলো উড়ে গিয়ে
নদীর ধারের বটগাছের পাতায়
ছড়িয়ে দিলো রোদ্দুর।
এক রাশ হাওয়ায় বটের পাতাগুলো
নদীর বুকে ভেসে গেলো।
এভাবে রোজ যেমন হয় রোদ্দুর
অনেক দেশ ঘুরে চলে এল
রণক্লান্ত ইউক্রেনের কিয়েভ শহরে।
এখন রোদ্দুর সদ্য মৃত চার বছরের শিশুর
মায়ের হাতে। বাঁচানো গেলো না শিশুকে।
একটু দেরি হয়ে গেছে-
এই ভাবে সময়ের কাছে প্রকৃতিকে হারতে হয়।
তাকেই আমরা বলি ভাগ্য, সত্যি কি আছে?
সময়মত যদি সারা বিশ্ব রোদ্দুর হাতে নিয়ে
ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াত,
ঠেকানো যেত মায়ের ক্রন্দন।
সকালের বিড়ালের গলার ঘন্টা
বাজলো না।
এমনি অনিশ্চিত প্রতিদিন।