মাঝে মাঝে মনে হয়
আমাকে আমি চিনি না!
কিংবা আমার বন্ধুদের আমি চিনি না!


আমার স্কুলের সহপাঠী বন্ধুটি
যে আজ বিলাত ফেরত প্রফেশনাল আইনজীবী।
সে বলে, প্রত্যেক বিষয়ের একটি পক্ষ ও বিপক্ষ যুক্তি থাকে।
যুক্তি, তর্ক, আইন ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে
তার কাজ সত্য খুঁজে বেড়ানো না।
সত্য মিথ্যা যাই হোক; পক্ষ কিংবা বিপক্ষকে জয়ী করাই তার কাজ।
আজকাল, যুক্তি তর্ক আর আইনের ব্যাখ্যার কাছে...
সত্য নিতান্তই তুচ্ছ!?


আমার কলেজের সহপাঠী বন্ধুটি
যে আজ প্রফেশনাল পেইন্টার।
সে সমাজের সুন্দর কিংবা অসুন্দরের
একটা নন্দনতত্ব দাড় করায়
তারপর ক্যানভাসে তেল অথবা জল রঙে
ক্ষয়ে যাওয়া মানব সম্প্রদায়ের একটি জীবনকে
আঁকতে শুরু করে একটি বিন্দু থেকে।
এই ছবি আঁকাটা শেষ হলেই আলোচনায় আসে
শিল্পের বিষয়, চাতুর্যের বিষয়, বানিজ্যর বিষয়!


আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী বন্ধুটি
যে আজ প্রফেশনাল সাংবাদিক।
সে মানুষের কষ্ট, কান্না, হাহাকার
নিয়ে সংবাদ করে কিংবা সংবাদ নিয়ে জীবিকা করে;
আমার প্রশ্ন করা হয়না “সে যে সংবাদ নিয়ে থাকে;
সেটা ভালবাসা, দায়িত্ব নাকি শুধুই কাজ!?”


এদিকে নিজের দিকে চেয়ে দেখি,
সপ্তাহে পাঁচদিন দশটা–ছয়টা ব্যাংকিং করে
সাদা–কালো সব মানুষের টাকার হিসেব করে যাচ্ছি
কিন্তু সাদা-কালো টাকার পেছনে কত মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে
সে কথাটি; কখনও ভালো ভাবে, ভেবেও দেখিনি!?


মাঝে মাঝে মনে হয়
আমাকে আমি চিনতে চাই না!
কিংবা আমার বন্ধুদেরও আমি চিনতে চাই না!


(১০ এপ্রিল ২০১৫)