ছোট্ট শিশু কান্না করে সামান্য ব্যথা পেলে
একটু পরেই  যায় থেমে মায়ের কোলে গেলে।
বয়স টা যখন ছয়-সাত মায়ের কোল ছেড়ে
পাশের বাড়ির কারো সাথে খেলতে যায় সে মাঠে।


খেলার ফাঁকে  আঘাত পেয়ে আবার ও সে কাঁদে
একটু পরেই কান্না থামে নতুন খেলা পেয়ে।
বয়স টা যখন দশ-বার,যায় চলে সে অন্য গ্রামে
তখন কিন্তু সে কাঁদে না অল্প ব্যথা পেয়ে।


বয়স যখন সতের-আঠার যায় সে অনেক  দূরে
তখন কিন্তু আর কাঁদে না রক্ত ঝড়ে গেলে।
ব্যাথার কান্না হয় যে বন্ধ বয়স বিশ পেরুলে
নতুন কান্না শুরু হয়ে যায় অন্তর মায়াজালে।


এ কান্না নয়ত সহজ একটু কঠিন বটে
আপন মানুষের দেয়া কষ্টে বুকটা ফেটে ওঠে।
কষ্টগুলো চাপা দিতে ভিতর করে যে সংগ্রাম
তার নামই যে বোবা কান্না আমি বলে গেলাম।