এমন আষাঢ়ের বিকেল, বাতাস, তুমি বোসো, শোনো;
ঘুণে খাওয়া চৌকাঠে চেয়ে গ্রহান্তরের দূরত্ব মেপে কী লাভ
শেষ রাতের বর্ষায় ধুয়ে যাবে কি জীবনের সকল পাপ
ধুলো জমা টালি খাতার হিসেব- যা মেলেনি, অমিলই থাক।


তারচে' বরং চলো, ঘুরে আসি আলাই নদীর পাড়
দুরন্ত কিশোর নাকি জালে তুলছে বাঁশপাতারি মাছ
কলমি ডোবায় ঝিনুক খুঁজতে ডাকে দু একটি ডাহুক
দেখো, শতাব্দীর প্রাচীন বীজেও ফুটে উঠলো শালুক
প্যাঁচাদের সাথে এবার দুই একটি ইঁদুর ধরা যাক-
ঝলমলে রৌদ্র গায়ে মেখে কচি ধান গাছের প্রাণ
যে নতুন মাছেরা পাটের শিকড়ের জলে খেলা করে-
তারা জানায় জীবনের প্রগাঢ় আহ্বান।


শোনো বিকেলের গান,
আগামী হেমন্তে নাহয় গায়ে মাখা যাবে মৃত্যুর ঘ্রাণ।


নির্বাণ, ২২৯/বি
মতিহার, রাজশাহী
২৩ জুলাই ২০২৩