অনন্তের পথ ধরে হেঁটে গেছি আমি,
নিঃস্বঙ্গ,
প্রতি মুহূর্তের তীব্র দহন, প্রতিটি ক্ষণের ব্যর্থ স্বপন,
পারিনি আমি, কখনো পারিনি তোমার দুয়ারে পৌঁছতে।
আশা জাগানিয়া গান গুলি সব
সুর কেটে গেছে কখন কবে,
অজস্র কথা কবিতা হয়েছে - সব বিরহের, সব কষ্টের।
তোমার মন্দির কতদূর বলো, কোথায় লুকানো তোমার বেদী।
কখনো হয়েছি দীপাবলি আমি, কখনো হয়েছি মাধবীলতা,
কখনো বা বিনোদিনী,
তবু তো কখনো হতে পারিনি,
কৃষ্ণ হৃদয়হৰণি।
ব্যঙ্গ করেই হেসেছে সবাই, কখনো বা সমব্যথী,
তুমিও ভেবেছো আমি কোনো এক পাগলী অথবা খেয়ালি।
দেখোনি তুমি চোখের ভেতর, কতটা বেদনা রিক্ত করেছে,
দেখনি তুমি, তুমি চলে গেলে যে বালিকা তোমার পথটি চেয়েছে।
জানতে পারোনি, প্রতি প্রাথর্না তোমাকে না চেয়ে, তোমাকে
চাইবার প্রার্থর্না,
সে নারী আজও বুঝতে পারেনি নিজের মনোস্কামনা।  


অনন্তের পথ ধরে হাটছে বালিকা,
বালিকা হয়েছে তরুণী,
পথের কাটায় রক্তাত্ত পথ বানিয়েছে তাকে যোদ্ধা,
সে নারী কখনো রমণী হয়নি, বোঝেনি কখনো কোনো ষোলোকলা,
নারীই এখন যুদ্ধ করছে সমাজ, সংসার বা তোমার বিরুদ্ধে।