রহস্যময়ী চন্দ্রকে বিজ্ঞান দিয়ে জয় করে,
তোমার বললে, 'এই তো তোমার শশী,
এবার কেমন কবিতা লিখো,
দেখবো, হে দুঃখবিলাসী!'
কবি বললো, 'ধুর, মানি না,
চন্দ্র কি শুধু পাথুরে বিরান ভূমি !
এই তো সেদিন সেজেছিল সে
প্রিয়ারূপে, নয়নাভিরাম গোলাপী আবেশে
মায়াময় তার আলোখানি দিয়ে করেছিল জয়
রাতজাগা কোনো অপূর্ণ হৃদয়।'


মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে,
ব্যাখ্যা করলে সব অনভূতি আর প্রেম ভালোবাসা,
তোমরা বললে, 'দেখো হে কবি,
দেহ রসায়ন খেলা সবটুকু
নয় কোনো আধো জাগরণে স্বপন বিলাস!'
কবিকে তোমরা সকলে করলে,
বোকা আর কোনঠাসা।
কবি বললো, 'সবই যদি হয় দেহ রসায়ন!
ব্যাখ্যা করেছো তোমাদের ভাবে,
তবে কেন বলো,
হাজার বছর না দেখেও তারে,
প্রেমিকের হৃদয়খানি পোড়ে?
মনখানি তার কোন দেহতে ফেলে এসেছিলো
কোন বিজন প্রান্তরে!'


তোমরা বলেছো, 'দেখনি কবি?
অভাব, দারিদ্র্য কেমনে ভোলায় সবি.
তোমাদেরই এক কবি বলেছিলো,
চাঁদ যেন তার ক্ষুধা নিবৃত্তির রুটি!'
কবি বললো, 'মানি আমি তবু,
বলো না, কেন তবে,
তার গলাটি সব চেয়ে মধুর,
মায়াময় তার বাণীগুলো সব,
যে মানুষটি বাসা বেঁধেছে মাটির খুব কাছাকাছি।
দারিদ্য মাপি কোন পাল্লায়!
সুখের নিক্তি কোথা পাওয়া যায়,
কে সূত্র দেবে, কার মাটি থেকে
অমরাবতীর সবগুলি ফুল ফোঁটে ?'