বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের শান্ত সৌম্য জীবনের লক্ষ্যে এক ধরণের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়. তারা কতগুলো নীতি মেনে চলে এবং তারা তাদের জীবনে চর্চাও করে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো, সব সময় অনুভব করা যে তারা সব কিছু নতুন ভাবে দেখছে, আজই প্রথম দেখছে। প্রকৃতি, অনুভূতি, খাদ্য সবকিছু নিয়ে এক ধরনের বিস্ময়  অনুভব করা. এতে মস্তিষ্কের নিউরোন গুলি আন্দোলিত হয়, নতুন নতুন সংযোগ গড়ে তোলে - অন্য অর্থে নতুন ভাবে জন্ম নেয়া প্রতিদিন। তাদের এই নীতিটি আমার আজকের কবিতার প্রেরণা।


নবজাগরণ বারবার
**********************
এই যে আমি,
দাঁড়িয়ে আছি এই মুহূর্তে,
আমার কোনো অতীত নেই.
আমি জন্মেছি এই মুহূর্তে,
ক্ষত বিক্ষত এক পথ ধরে.  
এই নিঃশ্বাস  এই প্রথম,
এর আগে আমি কখনোই অম্লজানের স্বাদ গ্রহণ করিনি।


এই সবুজের সমারোহ,
যা আমার দৃষ্টিকে মোহিত করছে,
এই বর্ণ আজই  প্রথম
আমার রেটিনাতে প্রতিফলিত হলো.


গভীর রহস্যময় সমুদ্রের জলরাশি,
ওই নীল, ওই অম্বর যা জলের মাঝে খেলা করছে,
আমি আগে কখনোই ওই জলাকাশে অবগাহন করিনি।

ওই যে মানুষটি, অনিন্দ্য সুন্দর,
যে আমার হৃদয়কে আন্দোলিত করে গেলো,
আমি বুঝতে পারছি না, এই রোমাঞ্চ কিসের তরে,
আমি সেই মানুষটির  সঙ্গে আগে কখনো পরিচিত হইনি।


ওই দেখো উড়ে গেলো পাখি,
পক্ষিশাবকের উদ্বেল ধ্বনি বৃক্ষের শাখায় শাখায়,
ওই শব্দগুলো এই প্রথম আমার শ্রবণেন্দ্রিয়তে সাড়া জাগালো।


অতীত কি, ভবিষ্যত কি,
সময়ই বা কি,
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি জানি না.
কালের সমুদ্রে আমি এক নবজাতক,
আমাকে গ্রহণ করো মহাকাল,
আমাকে নতুনের মাঝে বিকশিত করো,
বারবার।