মেয়েটিকে এসেছিলো উপহারস্বরূপ কিছু কাজের বিনিময় ,
দেখেই বুকটা মুচড়ে উঠেছিল, নিস্পাপ অসহায় মুখ,
নিজের ছোট  বোনকে মনে পড়ল, ওই রকম বয়েস
অভাবের তাড়নায় বেচারি বেচে চলেছে নিজেকে,


কিন্তু আমি নিরুপায়, অনেক টাকা হয়েছে দিতে কিনতে এই যৌবন
টাকার তো একটা মূল্য আছে যেটা আমি খুব ভালো জানি
আর জানে সেই মেয়ে, যাকে নামতে হয়েছে খুইয়ে সবকিছু
শুধু করতে আমার রাত রঙিন ।


আস্তে আস্তে  গোলাপের পাপড়ি খুলতে থাকে
প্রকাশিত হতে থাকে তার রূপ রস গন্ধ,
ডুবে যেতে থাকি নষ্ট মেয়েটার গোপন রহস্যে
চড়াই উতরাই পেরিয়ে পর্বত চূড়ার অভিমুখে,


ঠিক চরম মুহর্তে হঠাথ কানে এলো বলছে
স্যার, একটু তাড়াতাড়ি সারবেন স্যার,
শেষ ট্রেন টা না ধরতে পারলে বিপদ হবে
বাড়িতে মা, বাবা ভাই পাগল হয়ে যাবে ।


অসভ্য বেয়াদপ  মেয়ে, নেই কোনো শিক্ষা দীক্ষা,
কোথায় কখন কি বলতে হয় জানেনা,
পড়ল গালে সপাটে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ,
আর  কখনো কারো কাছে এই ভুল করবেনা,


ককিয়ে ওঠা বেদনাতে আর চোখের জলের ধারা
মিলে মিশে গেল আমার শরীরের ঘামে,
যন্ত্রণা বিদ্ধ হতে হতে ডুকরে ওঠা কান্না
করে তুলল রাতকে আরো রঙিন থেকে রঙিন ।


তারপর অনেক রাতে স্ত্রীর পাশে শুয়ে মনে হলে
চড় টা  কি বেশি জোরে মেরেছিলাম নাকি?
যাকগে, এই সব ছোট লোকেদের যত দয়া করবে
ততই পেয়ে বসে, ঘুমের অতলে তলিয়ে গেলাম ।


আগামীকাল আরেকটা নতুন সকাল, নতুন দিন
পৃথিবী আমাকে ডাকছে নতুন ভোরের স্বপ্ন নিয়ে!!!