মানবিক উৎকর্ষের কাল
---কিশোর কারুণিক


স্বপ্নের পথ চলা শুরু হতেই হলো স্বপ্ন ভঙ্গ
কেই হারালো পিতা, কেউ স্বামী
কেউ সন্তান, কেউ সহধর্মিী, কেউ ভাই বোন
চক্রান্তকারীর আগুনে-
শেষ করো মানুষের জীবন।
ওরা সুখি হতে চেয়েছিল শ্রমের বিনিময়ে
মজুরি পাবার আশায়-
মিটবে অন্নের ক্ষুধা, মিটবে মৌলিক চাহিদা
না, ওদের আশা পূরণ হলো না
ওরা আগুনে পুড়ে হয়েছে কয়লা
পৃথিবীর সমস্ত পশুত্বকে হারিয়ে
ঘটনা ঘটিয়েছে মানুষের মুখোসে কিছু চক্রান্তকারী।
ঐ চক্রান্তকারীরা মানুষ হতে পারে না
আমি ওদের মৃত্যুদণ্ড দাবী করি।
কারণ সুন্দর পৃথিবীর রূপরস
উপভোগ করার অধিকার হারিয়েছে ওরা।


কবিতার ছন্দ কবিতার বই-এ
জীবনটা এখন এলোমেলো গদ্য
পিতা সন্তানের কাছে কথা দিয়েছিল
এবার মজুরি পেলে নতুন জামা কিনে দেবে
ঘুড়তে যাবে শিশুপার্কে
সন্তানের কাঁধে এখন পিতার লাশ।


স্বামী কাজে যাবার পূর্বে বলেছিল
তোমার জন্যে শাড়ী কিনে আনব
আহা! মেয়েটি এখন বিধবা


যে  মানুষটা ভালবাসা দিয়ে ভড়িয়ে দিয়েছিল
আদরে সোহাগে, সে এখন মৃত
স্বামী তার প্রিয়তমার খোঁজে এখনো ছুটাছুটি
এই ভরাক্রান্ত বেদনা সহ্য করা যায় না
ভাই বোনের খোঁজে
বোন ভাই  হারানো কষ্টে হত বিহবল
মা  তার বুকের ধনের ফিরে আসার আশায়
এখনো পথ চেয়ে।
তার চোখ দুটো বিদ্রুপ করছে
এই সভ্যতাকে, সমাজ ব্যবস্থাকে
যাদের কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই
ওদের প্রয়োজন টাকা
কাড়ি কাড়ি মিলিয়ন বিলিয়ন টাকা
ওরা চায় ক্ষমতা, ওরা চায় পদ
ওরা অমানবিক মুখোসের বাড়বাড়ন্ত
এক একজন দেবতার আসনে অধিস্থিত


হে নিষ্পেষিত মানুষেরা
অধিকার করে নাও তোমার নিজের অধিকার
আর নয় নীরবে কাঁদা, আর নয় ভয়
প্রতিষ্ঠিত করতে হবে আইনের শাসন
হও আগুয়ান ধরো শক্ত হাতে হাল
আগামী সময় হবে
তোমার আমার
মানবিক উৎকর্ষের কাল।