প্রিয়
রাজা যখন রাজ্য ছাড়া হয়, তার সিংহাসন দখল করে
রাণীদের হাহাকার চিত্তে হাউমাউ কানে নেনা রাজা
এক রাজা রাজ্যহারা, এত রাণীর প্রতি কি দয়া হয় রাজার?
হয়তো হবে, তখন তা গৌণ।


আমার রাজ্য আছে, আমি তার রাজা, এই সিংহাসন
এই রাজ্য কারো দখলে গেলে আমার চিন্তার ভাজ পরবেনা
হয়তো গুপ্তচর রা ব্রুকুচকিয়ে অবাক হবে, আমার রাজ্য ফিরিয়ে দেবে।
যে রাজ্যে রাণী নেই সে রাজ্য দখল বৃথা আস্ফালন।


তোমার রাজ্যে তুমি রাণী, হয়তো তোমার রাজাও অন্য রাজ্যের রাজা।
অনেক বছরতো হলো, ভাবি রাজ্য নিয়ে কি হবে?
যদি এক পশলা বৃষ্টি উপভোগ করতে না পারি?
যদি বিকেলবেলা চা হাতে কারো ছোঁয়া না পায়
কি হবে রাজ্যের এত প্রাচুর্য?


সন্ধি করবে? আমার রাজ্যের সাথে?
আমাদের দুই রাজ্যের একটা প্রস্তাপনা হোক
নিয়ম বেনিয়মে বেড়াজাল তৈরী হোক।
কিছু কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ড হোক।
আমার জন্য সামান্য ছাড় দেয়া হোক।
কারন এই রাজ্য সহ তোমাকে লিখে দিব।
আমাকে তোমার রাজ্যের প্রজা হতে দিবে?


প্রজা হবো ঠিকিই, কিছু জিনিস বেশি চাইব
কারনে অকারনে তোমার মহলে যাব।
আমাকে কিছু জিনিস মজুদ দিয়ো, তোমার রাজবাড়ির পাশে একটা ঘর,
একটা পুকুর, একটা শালিক পাখি দিয়ো।
ছাদে উঠে তোমার অন্দরমহল দেখব, মাঝে মাঝে ভেলকনিতে চোখ যাবে।
মাঝে মাঝে স্নান শেষে চুল শুকাতে এসো, ভেলকনিতে কিংবা ছাদে
আমার অপলক দৃষ্টি যাবে, ঘ্রাণ পাব, হারিয়ে যাব দুঃস্বপ্নে।
তুমি ভয় পেয়ো না, রাজ্যের রাজা টের পাবেনা
তোমার রাজ্যে তো তুমিই সব।
পারবেতো, পারবেনা?।


শালিক পাখিকে গান শিখাবো, যত্ন করে শব্দের ভান্ডার দিব
মাঝে মাঝে কানের পাশে তোমার নাম বলবে
সকাল হলে তোমার নামে ঘুম ভাঙবে।


বৃষ্টির দিনে ভেলকনিতে আসবে? আমি মহলের বাইরে থাকবো
বৃষ্টির ঝিরিঝিরিতে অপলক দৃষ্টি দিব
বৃষ্টি কমে গেলে রঙধনু দেখবো দুই জন
তারপর চিৎকার করে বলব, রঙধনুর লালটা তুমি
ঐযে হলুদ দেখছো ঐটা তোমার রাজ্য
সবুজ আর নীল তোমার মহল, তোমার রাজ্যের রাজা।
বাকি রঙ গুলো প্রজা, যাদের সুখের কারন হবে তুমি।