আকাশে ছড়ায়েছিল তারা,
নিঃচুপ চারপাশ, ছিলোনা কোনো সাড়া।
ঘনায়েছিল রাত্রির গভীর অন্ধকার,
সেই বার প্রথম দেখা হয়েছিল,
তোমার আমার।
জন্ম-জন্মান্তরের আগে,
কোন এক প্রাগৈতিহাসিক যুগে।
না ছিলে তুমি কোনো রাজকন্যা,
না আমি রাজার কুমার।
আটপৌরে সহজ জীবনে
সাজানো সংসার।
ছোট একখানি নদীর কিনারে,
ছোট একখানি কুড়ে।
ভালোবাসার সুবাস বইতো,
সারাটি বছর জুড়ে।
নিকানো উঠোনে শত ব্যাঞ্জনের,
বাগান ছিল তোমার।
সকালে উঠিয়া ভিজায়ে দিতে,
শীতল জলের ধারায়।
হাড়ভাঙ্গা শ্রমে কঠিন জমিতে,
ফসল ফলাতাম আমি।
পর্ণ কুটিরে গোলাভরা ধানে,
প্রাচুর্যের হাতছানি।
বেলাশেষ হলে ক্লান্ত শরীরে,
বসতাম দুজনে দাওয়ায়।
তপ্ত দেহদুটি জুড়ায়ে নিতাম,
শীতল সতেজ হাওয়ায়।
নদীর জলেতে লুটায়ে পড়িত,
শেষ বিকালের রৌদ।
জীবনের সব সার্থকতা,
করতাম অনুভব।
সহজ সরল জীবনে ছিল,
সুখের আয়োজন।
ভালোবাসা ছাড়া তেমন কিছুর,
ছিলনা প্রয়োজন।
তোমারে আমি আগলে রাখিতাম,
গভীর মমতায়।
মিশে যেতে তুমি আমার মাঝে,
পরম নির্ভরতায়।


এমনি করিয়া এসেছি আমরা,
যুগে যুগে কালে কালে।
প্রেমের নিশান উর্ধেধ তুলিয়া,
মিশে গেছি মহাকালে।
নশ্বর দেহ মিশে গেছে ধরায়,
ক্ষয়ে গেছে সব স্মৃতি।
তারপরও মোরা গভীর মমতায়,
দুজনাতে মিশে আছি।