একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেতে পারে?
কতটা ভাংগতে পারে একটা মানুষ?
ভাংগতে ভাংগতে উত্তাল পদ্মারপাড়ও থামে,
থামি না শুধু আমি।
প্রতিবার আমি ভেংগে পড়ি,
চৈত্রের দুপুরে, যখন- বৃষ্টির কথা বলে
কাঠ ফাটা রোদ ঢালে মিথ্যুক আকাশ।
প্রতিবার আমি ভেংগে পড়ি,
পূর্নিমার নিশিথে, যখন জ্যোৎস্না না বিলিয়ে
চাঁদ মুখ লুকায় বাউন্ডুলে মেঘের কোলে।
আমি ভেংগে পড়ি বারবার,
যখন বুঝতে পারি, কোকিলের গান আমার
জন্য নয়, তার উপলক্ষ অন্য কেউ।


আমাকে বারবার ভেংগে ফেলো তুমিও,
যখন দেখি তুমি তাকিয়ে থাকো তার দিকে,
সমস্ত আবেগ একাকার করে দিয়ে,
আমার মন্ত্রমুগ্ধ চাহনি অবজ্ঞা করে।
যখন দেখি, তুমি তার পাশে দাঁড়াবে বলে,
নিতান্ত অবহেলায় আমাকে পাশ কাটাও,
অথবা, বিরক্ত হও আমার নিপাট ভদ্রতায়।
আমি ভেংগে পড়ি, চুরচুর হয়ে,
সমস্ত আংগিনা জুড়ে পড়ে থাকে,
আমার ভালোবাসার দেহাবশেষ।
বাতাসে যন্ত্রণার সুর তোলে,
আমার অন্তর্নিহিত বোবা দীর্ঘশ্বাস।


আমি আবারও ভেংগে পড়বো,
যখন তুমি, আমার এই কবিতাটিকেও
চরম উন্নাসিকতায় অবজ্ঞা করবে।
আমার ভালোবাসার সরল প্রকাশকে
ভাববে রাস্তার ছেলেদের হ্যাংলামি।
কারণে অকারণে তোমার ডাকে
ছুটে যাওয়াকে ভাববে, নিম্ন ব্যাক্তিত্বের
মানুষের অসহায় আত্মসমর্পণ।


পুনশ্চঃ
এই শেষবার আমার অন্তর্গত ভাবের
নি:সংকোচ প্রকাশ করছি তোমার কাছে।
এই শেষবার নিজের ব্যাক্তিত্বকে দিচ্ছি
জলাঞ্জলি, শর্তহীন আবেগের কাছে।
এতোদিনেও তুমি কি বুঝোনি?
আমার নির্দ্বিধ ভালোবাসা, নি:স্বার্থ প্রেম।
আবার অথবা আর,
ভুলেও লিখবো না অনুভূতির প্রকাশ,
বারবার ভেংগে পড়তে কার বলো ভাল লাগে!