হায় পূর্নিমার শশি!
কখন দারায়েছো আসি,
আমার বাতায়নের ও'পাশে,
প্রথম প্রহর হয়েছে মাত্র বাসি।
দ্বিপ্রহর রাত্রিতে চারপাশ শুনশান,
বিরহী প্রেমিকের কন্ঠে বেদনার গান,
রাতজাগা পাখিদের নিশুতির ক্রন্দন,
অদ্ভুত নিস্তব্ধতায় মোড়ানো ভূবন,
শুধু তোমার জোসনায় উজ্জল চরাচর,
অপার্থিব প্রশান্তিতে পূর্ণ করে অন্তর।
চন্দ্রাহত হৃদয় চেয়ে থাকে ব্যাকুল হয়ে,
কি কথা জানি শুধাতে চায় তোমারে,
না কি শুধায়েছে দাওনি কোনো উত্তর,
আলো আঁধারের খেলায় কাটিয়েছো প্রহর।


কত শত প্রেমের আনন্দের স্মৃতি,
ব্যর্থ হৃদয়ের বেদনার্ত আকুতি,
যুগে যুগে কালে কালে দেখেছো তুমি,
তবু কাটিয়েছো স্তব্দ মুক যামিনী।
আজ তবে খুল তব স্মৃতির ভান্ডার,
শুনাও জমিয়ে রাখা গল্পের আধার।
শোনাও কি করে পূর্নিমার তিথিতে,
আদিবাসী নারী পুরুষ মগ্ন হত নাচেতে।
গহীন বনের মাঝে নিকানো উঠোন,
শ্যামাংী তরুনীর চোখে প্রনয়ের আগুন।
বলে দাও আমাদের সহস্র বছর আগের কথা,
যখন শুরু হয়েছিল সবে মানব সভ্যতা,
তখন কিভাবে তোমার জোছনা  দেখে,
মরুর বেদুইন ঈশ্বরের খোজে নেমেছিল পথে।