আমার প্রয়োজন সহসা মিটিয়া গেল তোমার?
সহসা ভুলিয়া গেলে ধনুক ভাঙ্গাপণ?
কে আজ অধিকার করে নিল,
নতুন জাগা চরের মতন, তোমার মন?
হযবরল – আমাদের জীবনের অবসরে,
কখন তুমি চলে গিয়েছো দূরে,
বুঝতে পারিনি কিছুই তার।
বুঝবার সময় বয়ে গেছে বহু আগে,
এখন আর বুঝবার নেই কোনো দায়।


এক সাথে কপাট বদ্ধ হয়ে থাকা,
কখনোই প্রেম নয়।
একসাথে কাঁধে জোয়াল ফেলে হেঁটে যাওয়া,
পথের সাথী নয়।
শুধু জীবনের প্রয়োজনে পাশাপাশি থাকা,
শুধু বাঁচবার অন্বেষণে আঁকড়ে ধরে রাখা,
ভালোবাসা নয় কোনোমতে।
শুধু এক সামাজিক নিয়ম,
মধ্যরাতের প্রয়োজন মেটাতে।


একসাথে বসিনি কোনোদিন,
পূর্ণিমার চাঁদের আলোয়।
একসাথে ভিজিনি কোনোদিন,
বর্ষার অঝোর ধারায়।
হয়নি কোনোদিন একসাথে হাঁটা,
হৃদয়ে হৃদয় ছুঁয়ে।
হয়নি কোনোদিন গানের কলি ভাজা,
সুরে সুর মিলিয়ে।


আমারে কোনোদিন তাই, তুমি ডাকো নাই,
তোমার একাকী বিষন্ন সময়ে।
তোমারেও আমি চাইনি কোনোদিন,
আমার হৃদয়ের প্রয়োজনে।
পাশাপাশি বয়ে চলা অবিরাম,
ছিলনা কোনো প্রেমের উত্তাপ।
আমাদের হৃদয়ে তাই বরফ জমে গেছে,
আমাদের অন্তরের সবুজ পাতারা মরে গেছে।
ক্ষয়ে গেছে, চূরে গেছে,
যত বন্ধন ছিল।
ভিজে গেছে, পচে গেছে,
যত সামাজিক দায় ছিল।


আজ তাই তুমি মুক্ত করেছো নিজেকে,
তোমাকে ফেরাতে যাইনি আমি আর।
কিসের বলে তোমাকে ফিরাবো আমি,
আমার কি আছে কোনো অধিকার?
তুমি যাও,
যেখানে তোমার বিবর্ন পাতা সবুজ হবে।
তুমি যাও,
যার তরে তোমার মনে প্রেম জেগেছে।
আমি রুদ্ধ, একাকী, বসে রব ঠাই,
হয়তো আমার মনে এখনো প্রেম জাগে নাই।