কেউ তারে শুধায়নি,
তবু কৃঞ্চচূড়া ফুটেছে রাস্তার পাশে,
ঝাঁকে ঝাঁকে সোনালু মাথা তুলেছে আকাশে,
বাতাসের টানে, রৌদ্রের ঘ্রাণে,
নব জাগরনের আনন্দে,
কঠিন প্রাচীর বিদীর্ন করে,
মাথা তুলেছে বিধাতার অবাক ভূবনে।


যে ক্ষুদ্র বীজের অন্তরে ছিল,
সীমাহীন আকাশ দেখার বাসনা,
মাটির গভীরে তাঁকে আটকে রাখা যায়না।
গ্রীষ্মের রোদ, বর্ষার বাদল,
ঝড়ের তান্ডব, শীতের দাপট,
সয়ে গেছে নীরবে আশার আলো বুকে ধরে।
আজ ব্যাস্ত নগরীর তপ্ত দুপুরে,
আগুন জ্বলা ফুলের বাহারে,
জীবনের সার্থকতা প্রমান করে।


প্রিয় কৃষ্ণচূড়া আর সোনালু,
আরো অনেক আলো জ্বালো,
পিচঢালা পথের পাশে,
ছায়াঘেরা জানলার কার্নিশে,
মধ্য দুপুরের গনগনে রোদে,
হলুদ আলোর বিষণ্ণ সাঁঝে।
ধাবমান পথিকেরে দাও স্বস্তি,
দূর হউক জীবনযাপনের অস্বস্তি,
তোমার উজ্জ্বল ফুলের সমারোহে,
যখন দোলে উঠো বাতাসে স্পর্শে।


কেউ দেয়নি এতটুকু জল তোমার শিকড়ে,
ছায়া দেয়নি তীব্র রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।
প্রতিকূলতা জয়ী যোদ্ধা তুমি,
বিলিয়ে যাচ্ছো প্রশান্তির নির্যাস,
শত শত নাগরিকের মনে,
জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাবার মন্ত্র শোনাও,
ভেঙ্গে পড়া মানবে সন্তানে।