বৃদ্ধা ভিখারিনী বসিয়া দ্বারে,
ভিক্ষা মাগিছে দু’হাত পাতি,
কান্তজীর মন্দিরে।
চুল এলোমেলো, মুখে বলিরেখা,
বয়েসের ভারে পিঠ হয়েছে বাঁকা।
চোখের দৃষ্টি একটি গেছে,
আরেকটির আছে কোনমতে।
শতেক ছিন্ন বস্ত্রখানি,
বারে বারে যায় খুলে,
এইটুকু তারে কিনে দিয়েছিল,
কেবা কোন কালে।
জীবনের তরে নাই কোনো আশা,
ঘনায়ে আসিছে মরন কুয়াশা।
কবে কোন প্রাতে বা গভীর রাতে,
প্রান খানি তার নিবে যমদূতে।
ভাবিয়া ভাবিয়া বিষম জাগে,
তার মাঝেও ভীষণ ক্ষুধা লাগে।
যমদূতের কথা শোনাইও পরে,
খাবার কিছু আগে দাও আমারে।
ভিখারিনীর কথা শুনে উঠি চমকিয়া,
সে কোন শক্তি দেয় মৃত্যুকে ভুলাইয়া।


এই জগতে মরনের থেকে,
যদি কোনো কিছু সত্য থাকে,
সে হলো তীব্র ক্ষুধার্ত রজনী,
সব প্রয়োজনের আদি জননী।