দিয়েছো করুনা প্রভু অবাধ রাশি রাশি,
তারপরও আরো বেশী তোমা হতে যাচি।
অশেষ অনিশেষ তোমার দানের ভান্ডার,
না চাইতেই দিচ্ছো তুমি অসীম অপার।
রবির উষ্ণ রশ্নি ঘুচায় রাতের তিমির,
শ্রান্ত দেহ জুড়ায়ে দেয় দখিনা সমীর।
অঝোর বারিধারায় ভিজাও বসুন্ধরা,
সবুজ শষ্যক্ষেত্র সুজলা সুফলা।
তা হতে মুখে দিচ্ছো আহার তুলি,
তোমার করুনা প্রভু কি করে ভুলি।
দারা পুত্র পিতা মাতা ভরা সংসার,
হৃদয়ে উছলায় পড়ে স্নেহের আধার,
দিন সব কেটে যায় মায়ার বাধনে,
কত সুখে রেখেছো বিপুলা ভুবনে।
পশুপাখি অরন্য পর্বত দিয়েছো অধীনে,
জল অন্তরীক্ষ ও রেখেছো মোদের শাসনে।
সবচেয়ে বড় কৃপা ভুলিব কি করে,
জন্ম দিয়েছো মোদের মানুষের ঘরে।


অকৃতজ্ঞ হৃদয় তবু তোমায় ভুলে থাকে,
নশ্বর পৃথিবীর মোহ মায়া দেখে।
ক্ষনিকের অতিথির কত আয়োজন,
মনে হয় কোনোদিন হবেনা মরন।
কাটিয়ে দেয় সারাজীবন মিথ্যা অহংকারে,
বুঝেনা ডুবে আছে তোমার দয়ার সাগরে।