আমার চোখের রূপালি নিঝুম শহর
আছে নিরব অলিগলি,
সেই পথে রোজ হেটে যাও তুমি
পাদুকার ঘর্ষনে উড়ে ধুলাবালি।


সাজ আকাশে আমার কবিতার পঙক্তি দোলে
তার ছবি দেখি  ঐ চাঁদের কোণায়,
প্রতীক্ষার আকাশ কখন যে সাদা হয়ে যায়
ভোরের সূর্যের স্নিগ্ধ আলোয় ।


কিভাবে কেমন করে আমি কতদূরে কখন এসেছি
তোমার একান্ত অবহেলে,!!?
আজ কি পড়বে মনে ঝড়মত্ত এই মধ্য সমুদ্রে
ডুবন্ত তরী আমার অথৈ জলে।!?


অবিজ্ঞ কাপ্তান জানে আর্ত জাহাজ বাঁচাতে হলে কিন্তু আমি ছেড়ে যাবো কেন,?
আমি বেয়ে যেতে চাই অকুল দরিয়ায় ছেড়া পালে
নতুন ঘাটের সন্ধান পায় যেন।


জানো আমিও নিরুপদ্রব বেঁচে যেতে চাই কিছুকাল যতটুকু পারা যায়,
মারকুটে পরিবেশে কিল ঘুষি লাথি মেরে কিংবা
নিরবে দুঃখ নিয়ে যেভাবে বাচা যায়।


চির সবুজ উদ্যানে করবো প্রবেশ,বসে পড়বো, দোলাবো মাথা বেশ,
দূরবর্তী পাখিদের গান শুনে মন ভোলাব
কেটে যাবে দুঃখের রেষ।


আমাকেই আত্মার অমল অশ্রুধারায়
ধুয়ে মুছে যেতে হবে অন্যতায়,
ফেলে যেতে হবে,ছেড়ে যেতে হবে, যেমন গিয়েছি আগে অসহায়, ব্যর্থ নিরুপায়।


তোমার চরণের প্রতিটি কদমে ফুলের মালা বিছায়ে
দিলাম অশ্রুসজল বিদায়,
ভালো থেকো,সুখে থেকো বলে আমি এক ফোঁটা অশ্রু হয়ে থাকবো একলা অবেলায়!!