ভাবছি, হিমালয়ের তলদেশে চেপে রেখে দিবো
সকল উতপ্ত যন্ত্রণা,
অনন্তকালের তরে কেউ কোনদিন কখনো
জানতে পারবে না।


হিম শীতল বরফের পিচ্ছিল গহ্বরে
চিরায়াত অবরুদ্ধতায়,
সাজিঁয়ে নিয়ে সকল যন্ত্রণা বাধবো
করুন বিমুগ্ধতায়।


ভাবছি, তোমার শোকে আর কাঁদবো না,
কষ্টের বারিধারা হবে সকল কান্না।


হিমালয়ের বুক চিড়ে নির্ঝর ধারায়,
বয়ে যাবে তারা যমুনা হয়ে ধুয়ে দিবে
তোমার মনের সকল যন্ত্রণা।


ভাবছি,তোমার সুখে আর হাসবো না,
সকল হাসির সমাধি দিবো, উতপ্ত তপনে,
সে জ্বলবে আর বলবে-
"যাও প্রেয়সী ,যতদূর ইচ্ছে উড়ে যাও,
দিগন্ত হতে নীল গগণে।"


আমার অবরুদ্ধ পিঞ্জির, ধসে গেছে,
বাজছে বিরহের করুণ সুর,
তুমি মুক্ত স্বাধীন এই হৃদয়ের বাধন ছিড়ে
যাও, যত ইচ্ছে যাও যতদূর।


তোমার ললাটের প্রেমের  সিঁদুর,
তুলসীর জলে ধুয়ে দিয়েছি,
মুছে নিয়েছি ভাবনার অলক্ত।


ছলনার তপ্ত অশ্রু আর ঝরাতে এসো না,
যাও যতদূর ইচ্ছে,দিগন্তের সীমানা ছেড়ে
করে দিলাম তোমায় মুক্ত।


হৃদপিন্ডটা পুঁতে দিলাম,
ভালবাসার সমাধিতে,
অনুভূতিহীন বৈরাগী তনু,
উপহার দিলাম অরণ্যকে।


যেথা সুখ আছে ভুরি ভুরি সেথা যাও,
কভু যদি মনেপড়ে মোরে,
চেয়ে দেখো, হিমালয়ের পানে অপলক নয়নে
পাবে সেথায় নিঃসঙ্গ অস্তিত্বটারে।