কত বিচিত্র এই বিশ্ব!
কত রঙের ছোঁয়া চারিপাশে
গড়ে উটেছে যাদের নিপুণ কারিগরে,
যারা ভাঙে নরম হাতে লৌহ কঠিন ইট
পুস্কা পড়ে হাতে, পিট বেকে যায়
শরীর ভিজে যায় নোনা ঘামে,
কত দালান, ইমারত, রাস্তা, পুল গড়েছে
কাজ করতে গিয়ে কত জড়েছে অকালে প্রাণ
তাদের ন্যায্য অধিকার কি দিয়েছি?
সেই কুলি, মজুর, শ্রমিকের পরিশ্রমে।।

ধুকধুক শ্রম বিলিন করে
পেটের দায়ে ওরা তিলে তিলে নিঃশেষ হয়,
গড়ে রাজপথ সৌধ সমাধি আর অট্টালিকা।
তীব্র রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে
কাজ করে যায় আপন গতিতে,
আর ঠকে বিলাসিদের নিষ্পিষ্ট যাতাকলে,
তবুও দুবেলা দুমুটুঁ অন্ন জুটেনা কপোলে।
চেহেরাতে নেই ক্ষোভ দু:খ আর অভিযোগ
জিজ্ঞাসিত হলে মুচকি হাসিতে জবাব দেয়,
"আল্লাহ ভালা রাখছে আমাদের সকলে।।

ওরাই সহস্র সাগর পাড়ি দিয়ে
প্রবাসে যায় মায়া- মমতার শীকর ছেড়ে
বিরামহীন পরিশ্রম দিয়ে করে কাজ
মাস শেষে পাঠায় কাড়ি কাড়ি রেমিট্যান্স
তাদের টাকায় অর্থনীতির চাকা ঘুরে,
তাদের জন্য কি দিয়েছি কোনো সম্মান?
নাকি কেবল মঞ্চে গেয়েছি সাম্যের গান?
দিন শেষে তারা কামলা আর আদম
তাদের জন্য নেই কোনো আসন,
প্রবাসী ভাইয়েরা সুবিধাহীন তিলে তিলে মরে।।


ওরা কৃষক মাটে সোনা ফলায় অন্ন জোগায়
নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যায়
তবুও পায়না ন্যায্য দাম,
তোমরা করো সিন্ডিকেট মজুদ করে শস্য- ফসল
মুনাফা সব নিয়ে নাও
এসি রুমে বসে লেকচার দাও,
কেবল রক্ত পানি করা কৃষক পাইনি
তার কাজের স্বীকৃতি পাইনি সম্মান।
আজ মে দিবসে শ্রদ্ধা ভক্তি তাদের প্রতি
যারা অধিকার আদায়ে করেছেন আত্মদান।।

মে দিবস উপলক্ষে আজকে লিখা এই কবিতা টি
সকল শ্রমিকদের উৎসর্গ  করলাম।।
স্থান: রাউজান, চট্টগ্রাম। ০১/০৫/২০২৪