ছেলের বয়স কম হয়নি
প্রায় বছর আটাশ,
প্রেমে ছ্যাকা খেতে খেতে
মনটা বড়ই হতাশ।


শিক্ষা-দীক্ষায়ও বেশ ভালো
ফ্যাশন ডিজাইনার,
প্রেমের খেলা অনেক খেলেছে
হইনি উইনার।


মেয়ে একটা প্রেম করতে
হয়েছে এবার রাজি,
শর্ত দিল বেকার থাকা চলবেনা
চাকুরী খুঁজো আজি।


নামটা যে তার "দোলন মিয়া"
ভাড়া বাড়িতে থাকে,
চাকরির খোঁজে ঘুরে বেড়ায়
শহরের বাঁকে বাঁকে।


কোথাও খুঁজে পেলো না সে
একটাও ভেকেন্সি,
মনের দুঃখে বাসায় ফিরলো
করবে এখন কী?


অবশেষে হাজার চেষ্টা করে
চাকরির দেখা মেলে,
চাকরিটা হয় রানাভোলার
জুয়েলের স্কুলে।


পোস্ট-পজিশনও বেশ ভালো
হিসাব-নিকাশের কাজ,
বেতনও পাবে হাজার দশেক
গুছলো বেকারের লাজ।


একদিন হঠাৎ "দোলন মিয়া"
পার্কে হাঁটতে গেলো,
প্রেমিকার হাত অন্যের হাতে
"দোলন" দেখতে পেলো।


এই দৃশ্য দেখে "দোলন মিয়া"র
অশ্রু আসলো চোখে,
ঘরে ফিরলো সে হতাশ মনে
দুঃখের পাহাড় বুকে।


এই ছ্যাকাতে "দোলন মিয়া"র
ব্রেনে আঘাত আনে,
মাথার ঘণকালো চুলগুলো সব
পাকছে দিনে দিনে।


"দোলন মিয়া" এখন বড্ড একা
প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে,
চাকরিও এবার ছাড়তে পারে
কঠিন দুঃখ পেয়ে।