আমি বিজ্ঞানকে করি ঘৃণা তখন,
যখন সে ডেকে আনিবে সাহিত্যের-ই মরণ।
বিজ্ঞান তব দিতে পারে আজ রাশি রাশি সুখ।
অপব্যবহারে বেড়ে উঠিবে মানব মনের দুঃখ।
সাহিত্য দেখ, সুখ না দিলেও দিয়ে যায় শান্তি।
সাহিত্য নিয়ে অপবাদ দিয়ে করিও না কেউ ভ্রান্তি।
সাহিত্য সাগরে ডুব দিয়ে দেখ, একবার শুধু একবার।
শান্তি সাগরে হাবুডুবু খাবে, বারবার তুমি বারবার।
চোখ মেলিলেই দেখিবে সেথায় শান্তির যেন সুধা,
সেই সুধা পান করিলে, মিটিয়ে যাবে ক্ষুধা।
বাংলার এই সাহিত্য সাগরে ভরপুর আছে রতন।
রতন চমকে পাল্টে গেল মুধুসুধনের জীবন।
এই সাগরে ডুব দিয়েছিল মহাকবি আলাওল,
জাতীয়ভাবে সম্মান পেল বিদ্রোহী নজরুল।
এখানেই পেয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র, বিদ্যাসাগর খ্যাতি।
আমিও আজ হতে চাইযে সেই পথেরই সাথী।
রবীঠাকুর এই সুধা পান করে হয়েছে কবিগুরু,
সেই সুধালোভে আমিও মত্ত, লেখা করেছি শুরু।
সাহিত্য সাগরে ডুব দিয়েছিল পল্লীকবি জসীম,
সেও দেখেছে এই সাগরে রতন রয়েছে অসীম।
ফররুখ বল, মাহমুদ বল, বল যদি আহসান,
সবাই দেখেছে সেথায় রয়েছে, রতনরাজি অফুরান।
সুকান্ত তাঁর অল্প বয়সে বুঝেছে এর মর্ম,
রোকেয়া, সুফিয়া মেয়ে হয়েও করেছে সাহিত্য কর্ম।
এত মহাজ্ঞানী, যেথা হতে তাঁরা করেছিল সুধা পান।
সেই সাহিত্য ধ্বংস হতে চলে, নিষ্ঠুর বিজ্ঞান।
বিজ্ঞান নিয়ে ভাবে সকলে ছুটে চলে হনহন।
জ্ঞান বাড়াবার সাহিত্য সাগরে ডুবায় না কেউ মন।