গদ্যের চালটা পথে চলার চাল, পদ্যের চাল নাচের ।
এই নাচের গতির প্রত্যেক অংশের মধ্যে সুসংগতি থাকা চাই ।
যদি কোনো গতির মধ্যে নাচের ধরণটা থাকে অথচ
সুসংগতি না থাকে তবে সেটা
চলাও হবে না, নাচও হবে না, হবে খোঁড়ার চাল অথবা লম্ফঝম্ফ ॥


কোনো ছন্দে বাঁধন বেশি কোনো ছন্দে বাঁধন কম ।
তবু ছন্দমাত্রের অন্তরে একটা ওজন আছে ।
সেটার অভাব ঘটলে যে টলমলে ব্যাপার দাঁড়ায়
তাকে বলা যেতে পারে মাতালের চাল ।
তাতে সুবিধাও নেই, সৌন্দর্যও নেই ॥


................. শৈলেন্দ্রনাথ ঘোষকে রবীন্দ্রনাথের লিখিত পত্র : 22 জুলাই 1932 ;


তৎকালীন সময়ের বলা রবীন্দ্রনাথের উক্ত উক্তির সাথে
সময়ের ব্যবধানে আজ যদি এর কোনো মতভেদ ঘটে থাকে
তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই ।


আপনার মতে আজ আমরা যে ধারায় কাব্য রচনা করি
সেক্ষেত্রে উক্ত উক্তি কতটুকু গ্রহণযোগ্য ?


কিংবা আমরা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে
কীভাবে কাব্য রচনা করব ?