একটা সময় ছিল –
তখন কবিতা লেখার ইচ্ছে জেগে উঠত ; লিখতামও
এখন পারিনা । মনে হয় নিজেই একটা কবিতা সমগ্র
নিজেকে নিয়েই সেরে উঠতে পারিনা
তাইতো আর নদী পাড়ে যাওয়া হয়না
আর কবিতাও লেখা হয়না ।


এখন দখিনের জানালাটা বন্ধ করে রাখি
ঘরের ভিতরে চলে ইলেকট্রিক্যাল ফ্যান
তাই শীতল বাতাসের অনুভব বুজতে পারিনা
শুধু মনে পরে –
গ্রামের আমার সেই কুঁড়ে ঘরে ছেরা গামছার আবরণে ঢাকা
বাঁশের খেরকি । দখিনা বাতাস সেই ছেরা গামছা  উপচে এসে
আমার বুকে মিশে যেত আমিও নতুন এক আমোদে খাট খাট শ্বাস নিতাম ।


আর আজকাল তো চাঁদের দেখাই মেলে না
এখন শুধু অন্ধকার আকাশ দেখি যেখানে চাঁদের আলো এসে
ইলেকট্রিক্যাল আলোর ঝলমলে শহরের মাঝে হারিয়ে যায় ।  
বাড়ীর পাশে একটা বাঁশের বাগান ছিল
প্রতিদিন সকালে পাখির গান শুনতাম
ওদের সাথে আমিও সুর মেলাতে চেষ্টা করতাম ।
গত বৈশাখের ঝড়ে বাঁশের ঝাড় গুলো উপড়ে গেছে  
এখন আর পাখির গান শোনা হয় না
কাল কাক গুলো শুধু কা কা করে আমাকে
ক্লান্ত করে তোলে ।


১৩/০৯/০৫