প্রীতি-স্নেহ স্রোতের বিপরীতে বেড়ে উঠা শৈশব ,
নৈঃশব্দ্যের তিমি রে ...খোঁজে স্নিগ্ধ মায়াবী জ্যোৎস্না !
শামুক গতিতে একা অকস্মাৎ এক প্রহরে -
চাঁদের দর্শনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় চিত্ত চকিত যখন ,
সবে কৈশোরে রেখেছে পা !!


আবেগ প্রবণ অতিরিক্ত সরলতায় কাছে যায় ,
চাঁদের ছোঁয়ায় মরু বুকে সবুজ পল্লব জেগে উঠে !
ছবি আঁকে ,স্বপ্ন দেখে নীরবতায় ,বিকেল হয়ে ওঠে অপরাহ্ণ !
গাছে গাছে শোভিত ফুলগুলোর মাধুর্যে মনে আসে ফাগ আবীর ।
বহতা নদীর স্রোতের মত ছুটে চলে মন ,চাঁদ কে কাছে পাবার -
এক অদম্য আকাঙ্ক্ষায় !!


পরিণয় ,পরিণতি - এরপর কণ্টক পথে সত্যের পথচলা ,
গুরুত্বহীন কখনো অবজ্ঞা-লাঞ্ছনার বাণে মনে হয়েছে ,
জীবন অধ্যায় শেষ কোথায় ,তবুও পথ চলে ...
জাল বুনে নকশীকাথার ,চির সুন্দরের বন্ধন রচনায় !


দু’মুটো অন্ন -বস্ত্র -আশ্রয়ের দুর্গম সংগ্রামে ক্লান্ত যুবক ,
থামেনি অবসাদগ্রস্থ সময়ে হাসি ফোটানোর রণ যুদ্ধে ।
এক এক করে সিঁড়ি গেঁথে পাড়ি দিতে গিয়ে ,
বুঝেছে ,জীবন সে এক অদ্ভুত ব্যাখ্যাহীন অধ্যায় !
জীবন পুরো টাই একার ,কেউ কারো নয় !
ঘোলাটে হয়ে আসে আঁখি ,পূর্ণিমাতে ও অমাবস্যার চাঁদ !
সময়ের বিবর্তন বৃক্ষে আসে ,সবুজ পাতা -ফুল -ফল ;
ত্যাগে -দায়িত্বের মহিমায় তা পুষ্ট হয়ে ,
অনুবীজ জন্ম দেয় !
আর কিংশুক উপাধি নিয়ে পড়ন্ত বেলায় জীবনের অঙ্ক কষে বৃক্ষ !!


চিত্তে যে রক্ত ক্ষরণের দাহ ,সৃষ্ট কলহে ; দাঁড়কাক একটু প্রশান্তির তরে
নির্বাক চেয়ে থাকে ওই আকাশের পানে ,আবার খোঁজে -
ধ্রুবতারা ,যে নিখাদ -অনন্যা-অতুল্য !!
দূরত্ব থাক কোটি সহস্র বছরের ,তাতে কী !
পাবে একটু আলো ,সেই আলোর তরঙ্গ পথে ,
ভেসে ভেসে যাবে ,কিছু অমৃত শব্দাবলী ,আমি তোমাকেই খুঁজি ---
তোমাতেই বিলীন হবো ,ভালোবাসি !


যতটুকু সময় ,এ-ধরায় ; ভাগ্য সু-প্রসন্ন -
সন্ধান মিলে ধ্রুবতারার !
জ্বল জ্বল করে দিনে -রাতে প্রহরের প্রতিটি ক্ষণে ,
তার নিবিড় সান্নিধ্য -ছোঁয়ায় ভুলে পথচলায় ক্লান্ত পথিক ,
অপ্রাপ্তির বেদনার ইতিহাস !
মনে-প্রাণে বেঁচে থাকে কল্প লোকের সত্য ,
সুখ-আনন্দ আর শান্তির নির্যাস মনে ,ধ্রুবতারার বুকে -
একাকার হয় ,না-বলা ইতিহাস !!!