গাছের ডালে হিমেল বাতাস শীতল দেহ মনে
শান্তি-সুখে মন ভরে যায় জুড়ায় সবার প্রাণে
বন বনানী মাঠে ঘাটে হিজল বনে পাখি
বাশুরিয়ার বাঁশির সুরে ভিজাই দুটি আঁখি।


সকাল-বিকাল, কৃষক-চাষী চাষায় মাঠে জমি
স্বন ধানের ঝিলিক দেখে হাসে সারা ভূমি
মাথার ঘামে  ভিজে শরীর, ফলাই মাঠে সোনা
খুশির দোলা দুলাই মোরা,নেই কোন তার মানা।


নারীর হাতে নকশি কাঁথা বিছা শীতল পাটি
নব ব ধুর অপ রূপে সাজে দেশের মাটি
গায়ের বধূ নাগর যাবে লাল শাড়ি টা পড়ে
উত্তাল মন যায় ছুটে যায় মন বসে না ঘরে।


চাঁদনী রাতে নদী জলে চাঁদের আলো ভাসে
হিমেল হাওয়া ফুলের ঘ্রাণে সুবাস ভেসে আসে
শাপলা-শালুক,হাসনা হেনা, সদ্য ফুটা কলি
ফুলের ঘ্রাণ লুটি নিতে আসছে উড়ে অলি।


ছয়টি ঋতুর কারু কাজে স্বদেশ আমার সাজা
জারি সারি পল্লি গানে,বাঁশের বাঁশি বাজা
প্রভাত বেলা রবির কিরণ মিঠা রোদের হাসি
আমার প্রিয় স্বদেশ ভূমি শুনে বাঁশের বাঁশি।


এই ধরণী,বিরাট আকাশ উদার মনের পাখি
দেশ,সমাজ ও জাতি জন্য সবাই শুধু ডাকি
মায়ের আচল মায়ার বাঁধন ভালোবাসায় ভরা
দেশের জন্য জীবন-মরন ভয় করি না মোরা।#