যতবারই নিজেকে সরাতে চেয়েছি, ততবারই–
তোমার কোপানো কোদালের অগ্রভাগে এসে পড়েছি।
ঠিক উর্বর জমিটির কেঁচোটির মতো।


এখানে আমাকে কেঁচো ভাবলেই–
                         সব সমাধান।  


তখন তুমি– কোনো আনাকোণ্ডা টানাকোণ্ডা ভেবে,
নির্ভয়ে, দাও মাথাটায় কুপিয়ে।
না দেখার ভান করে মাটি চাপা দাও তারপর।
    
কিছুদিন বাদে...  
তোমার বাগানে ফোটে টগর,
কেতকী, জুঁই, গোলাপ, রজনীগন্ধা।  
প্রতিটি সন্ধ্যা নেমে এলে–  
তারপর শুরু হয় তোমার মালা গাঁথা।


জেনে যাই তখন–
               আমি বেঁচে নেই,  
আমার মৃত্যু হয়েছে শেষটিবারের মতো।


আর, এখানে আমাকে কেঁচো ভাবলেই
                       বড্ড ভুল করবে তুমি...