ঘন্টা খানিক বাদেই পথিক ঘুমের কাজ সেরে
বেরিয়ে পড়ে প্রখর রোদে, নিজের মতো করে  ।
আবার গিয়ে দাঁড়ায় সেথা, শান্ত আম্রছায়ায়
যদি প্রভুর প্রকোট পড়ে । নয়তো বেহায়ায় ,
ফিরতে হবে খালি হাতে নিজের ঘরের বাঁধে
তবে শিবু দাঁড়িয়ে আছে, নিজের মনের সাধে...।


ধীরে ধীরে যাচ্ছে সময়, ফিরছে পক্ষী নীড়ে
শুণ্যতাতে ভাসছে শিবু- আনমনারই ভিড়ে ।
শান্তমনায় গোধূলি বেলায় , ডুবছে যখন রবি
ফিকেয় ভরা জীবন লাগে শিবুর তখন সবই  ।
'দুখের কোনো সীমাই নেই, এই ধরনীতলে-
একদিন তো সবই ফেলে যাবই আমি চলে !
ঠিক তখনই হয়ত হবে , গোধূলি আনমনা ,
পাখির মতই ফিরবে নীড়ে ভবের সব জনা ।
হারিয়ে যাবো আমিও তো, স্মৃতির নতুন পাতায়
এখন তবে আছিই বেশ ! নতুন সজীবতায় ' ।


সন্ধ্যে নামে ধরার তলে , শিবু ঘরে ফেরে -
বিকেল তাহার খালি গেছে, শূণ্যেই থলি ভরে ।
ঘরে ফিরেই শিবু দেখে- শুণ্য ঘর তাহার
বউ মেয়ে দুজন মিলে গেছেই কোনো বাহার !
বসেই পড়ে খুঁটির ঠেসে, হালকা ঘুমের ঘোরে
ঠিক তখনই শিবু বলেই ডাকটা দিল ওরে ... ।


পাড়ার গিরিশ ডাকটা দিল, হঠাত নয় আশা
বহু দিনের শিবুর কাছে আছে ঋণের হিস্-সা ।
আজকে আর খালি হাতেই গিরিশ বাবু যায়নি
দুটো টাকা দিয়েছে তার, যেটা শিবু চায়নি ।
খানিক বাদেই ফিরলো ঘরের বউ আর মেয়ে
দুইজনাই খুবই খুশি শিবুকে দেখতে পেয়ে  ।
শিবু পথিক সবই খুলে বলল ওদের কাছে
বলল আরো, মোদের এবার সুখের ছোঁয়া আছে !
আরতো মাত্র কয়টি দিনেই- , চুকবে সব ঋন
ভাগ্যে জুটবে তখন সবার হাসি-খুশিরই দিন  ।



( চলবে আর )