গাছের থেকে পাহাড় বড়ো, সাগর বড়ো অতল
চাঁদটা কেন এত দূরে ? নিম্নে কেন ভূতল ?
গাছের কেন ডালা পালা ? সূর্য কেন দূরে-?
সত্যি সত্যি ভাবলে এসব  যায়যে মাথা ঘুরে ।
ঠাণ্ডা কালে ঠাণ্ডা আবার, হয়না কেন গরম ?
গরম আবার নরম হলে- করতো বুঝি শরম !
দিনটা কেন ফুরিয়ে যায় ? রাত্রি কেন আসে ?
আবার সকাল আবার বিকেল আবার শিশির ঘাসে !
‘এই আমাদের সকাল হলো’,  ভাবি আমি যখন
সকালে সেই- সোনার রবি পুব আকাশে তখন ,
খেলতে খেলতে যখন দেখি- পশ্চিমেরি ঘাটে !
প্রশ্ন আমার- রবি কেন যাবে আবার পাটে ?
কিচিরমিচির পাখিরা সব শান্ত কেন নীড়ে ?
গায় না কেন সাত সুরেলা ? তার কি গেছে ছিঁড়ে !
আবোল তাবোল প্রশ্নেরা সব আসছে আমায় ঘিরে
যাচ্ছি যেন সাত সাগরের ফেনায় ফেনায় তীরে  ।
হায়রে আমার পোড়া কপাল রইলো অনেক আশা,
রইলো পড়ে স্মৃতির ভেলা- রইলো চিরঠাসা  ।
উত্তর সব পালিয়ে গেছে-, “প্রশ্ন আছে পড়ে”,
প্রশ্নেরা সব মনের মাঝে -সত্যিই পাহাড় গড়ে  ।
ভাবছি আমি উত্তরেরা   দিল যদি ফাঁকি- ,
বলছো কি ভাই! শেষ বিকেলে এমনি বসে থাকি !



১২ ডিসেম্বর ২০১৫
  শনিবার,  গুড়গাঁও