( তখন ছিল দুপুর বেলা । মাঠে একটি ছোট্ট খোকা একা একাই খেলছিল ।  ঠিক তার পাশে একটা বড় বটের গাছ ছিল । গাছটির নীচে এক বয়স্ক ভূত-  বসে বসেই তার খেলা-ধূলা দেখছিল । তখন সেই ভূতটা ওই ছোট্ট খোকাকে  কাছে ডাকে এবং বলে- ‘ তোমার ভয় লাগে না একা একা এই ভরা দুপুর বেলা খেলছো । যদি কোনো ভূত এসে তোমায় ধরে নিয়ে যায়, তখন...। প্রত্যুত্তরে- ওই ছোট্ট খোকা বলেছিল নাকি-  ভূত’ই তাকে দেখে ভয় করে এবং আরো অনেক কিছুই বলতে থাকে । ঠিক সেই সময়ে দুই জনার মধ্যে যে কথোপকথোন হয়েছিল তা নিম্নে  বর্ণনা করা হল ( পুরোটাই কাল্পনিক ভাবে ) । )


(ভূত)
বলছো কি ভাই আমায় তুমি “ ভূতের আবার ভয় ”
এই জগতে কোন সে ভূত- তা কখনো হয় !
নখ দিয়ে সে আচাঁড়ায় না, নখ কি তবে ভোঁতা !
কি কি কি ! শিং দিয়ে সে, মারে না আর গোঁতা
দাঁত গুলো সব নড়েই গেছে ! হাত-পা সব খোঁড়া
বয়স হলে পায় না খিদে ? পায় কি থোড়া থোড়া !


(খোকা)
হ্যাঁ গো হ্যাঁ , বলছি যা সব এক্কে-বারে সত্যি
এক্কে-বারে বিলিয়ে গেছে  ভয়ঙ্কর সব শক্তি  ।
আগে লোকে করত ভয়, করত ম্যাউ-ম্যাউ
এখন ওরা নামেই ভূত  ভয় পায় না কেউ  ।
আগে নাকি থাকতো ভূত- নানান রকম গাছে
এখন ওরা থাকে জানো সবাই আমার পাছে  ।


(ভূত)
আচ্ছা খোকা তুমি কখনো ভূত দেখেছো নাকি !
কিংবা তাহার দেখেছো কভু- রক্তজবা আঁখি ,
কিংবা তাহার সেই হুঙ্কার- যাতে ভূ-লোক ঝাঁকে
বিশেষ করে খোকা-খুকিরা ডাকতো তাহার মা’কে ।
ভয়ে তখন করত তারা -শরীর জড়োসড়ো ,
বলোতো এবার তখন কে- হত সবার বড় !


(খোকা)
হা হা হা! পাচ্ছে হাসি, তোমার কথা শুনে-
আমি কি আর ওদের মতো- হবো ঘরের কনে ।
কক্ষনো না !  ভয় কে আমি জয় করতে জানি ,
কারন আমার স্কুল মাস্টার বলেছে এক বাণী-
“ভূত-টুত সব নেই যে কোনো, ওসব গুজব কথা,
ওগুলো সব কুসংস্কার ! নানান বাজে প্রথা ”!


(ভূত )
তবে রে বেটা আয়তো দেখি চিবিয়ে খাবো তোরে
দেখি তোর মাস্টার আমার কি’টা করতে পারে !
হাস্ না এবার ! দেখি তবে কেমন পাশ্ সাজা !
জানিস্ না তুই আমি হলেম- স্বয়ং ভূতের রাজা  ।
ভূতের কেমন ভয়’টা শুনি ! পায় না কেন খিদে ?
আয়রে বেটা পেটালয়ে- পাঠাই এখন সিধে ।


(খোকা)
মা-গো মা , বাঁচাও আমায়, কোথায় গেছো, ওরে...
খোকারে তোমার ভূত ধরেছে গেলাম আমি মরে ।
ভুল হয়েছে ভূতনাথ গো , বলবো না আর এমন
এই দেখো-  মলছি কান  , ছেড়ে দাও , কেমন !
এবার থেকে করবো ভয়,  করবো তোমায় প্রণাম
বিনিময়ে পিঠেপুলি নেবে কি ! -দেবো ইনাম  ।