হে রমণী-
তুমি আমারে এখনো ভুলোনি !
এখনো আছো !-সেই আগেকারই মতো
সেই ‘কুল-কামিনী’ ।
আমি বুঝিনি-
এ হেন পথে, কেন তোমারি গামিনী  ।


গিয়াছো তো কত কাল , গিয়াছে কত যামিনী-
তবু, রাখিলে আজো যত্নে -ওই 'ফুলেরি দানি' ।
পুরস্কার ভাবিয়াছো নাকি, তাহাকে-
এই প্রখরো বৈশাখে ।
তবু, জল জমিয়াছে ! ক্ষতি নাই তাতে
দিয়াছো তো মুছা, সন্ধ্যে ও রাতে ।
কিংবা-  কীটের হইয়াছে বাস
ভয় নাই -ওটা আমারি পরিহাস ।
হাসিয়া কাঁদি তবু-, হায়!


আমি আজও ভাবি-, কভু কভু তাহা
যাহা দিয়াছি কি তাহা ব্যথিত ঘা-,
নাকি জীবিত নোনারি জলচ্ছাস্ !
ভাবিয়া পাই না তাহা, ঘুরিয়া ফিরি পাশ ।
এত নামি ছিল না তো-, সামাজি’চক্ষে
তবু কেমনে জড়িয়া রেখেছো আজও
তোমারি নিথর বক্ষে...।
তুমি তো-  বিবাহিতা
তবু কেমনে পারিলে গোপনে রাখিতে ,
আবার, হইলে আমারি সু-মিতা ।
করিতে পারিলে নিজেই তুমি নিজেরি হিতহিতা !


ভাবিয়া , ব্যকুলি হইনু বার বার
এমনতর- তোমারি দেখিয়া কারবার ।
যাহা দিয়াছিনু তাহা তো- " অতি নিরাকার "  !
কেমনে পারিলে তুমি, তাহারে দিতে সু-আকার ?