তুই তো আগে থেকে অনেক
রোগা আর শুকিয়ে গেছিস ,
চেহারাটা  বয়সের চেয়েও বেশি
   মনে হচ্ছে।  
কিরে খাবার ঠিক মতন খাস না?
সময় মতো ঘুমাতে  যাস না ?
তোকে আমি ডাক্তার বানাবো
তুই কিন্তু সাইন্স নিবি বলে দিলাম।  
প্রাণের ভিতর থেকে
অন্তরের ভিতর থেকে
বাবা কথা গুলো বলতেন ।
বলতেন- পটেটো আব্বু কুথায় রে ? কি প্রশান্তিময় সে ডাক গুলো।  
দুই যুগ চার বছর হয় কথা গুলো শুনি না ,
কত মায়া স্নেহ ভরা প্রশান্তিময় সেই বাবার আদর !
যখন মনে বড়ো কষ্ট ,কাটা যুক্ত পৃথিবীর -
পথ চলার সময় -তুমাকে বেশিই মনে পরে বাবা ।
সময়ের বিবর্তনে সেই আদর ভরা ডাক ,
সেই স্নেহ ভরা শাসন ও পরামর্শ সবই আজ
বিলীন হয়ে গেছে ,
বাবার কথা মনে হতেই কেমন যেন চাপা কষ্ট হয় ,বৃথা হয়
বুকের ভিতর।
কতকাল দেখি না বাবার সেই মলিন মুখখানি
শেষ বার যখন ডাক দিয়েছিলে , তখন কাছে যেতে -
কিছুই বলছিলে না ,
নিজেকে আমার থেকে কেন জানি আড়াল করতে চাইছিলে।
নিজেকে বড়ই অসহায় লাগে , একলা লাগে
তুমার অবর্তমানে।
বাবা কিন্তু দেখতে ছিল খুব টিপ টপ
হিসেবের কাজ করতেন বড়ো একটা মিলে।  
সকলেই তাকে ভালোবাসতো -
তিনিও মিলে মিশে থাকতেন -ভাই - বোন  
আত্মীয় -স্বজন নিয়ে ,
হটাৎ  এক ঝড় এলো -বাবাও চলে গেলেন।
বলতে হবে ভাগ্যবান আমি , যতদিন
বাবার সান্নিদ্ধ পেয়েছি -আরামে ,
আয়েশেই ছিলাম।
কি প্রগাঢ় ও নিবিড় আশ্রয় স্থল ছিল  
বাবার কাছে।
আর যারা জন্মের পর পরেই বাবাকে হারিয়েছেন
কতোই না দুর্ভাগ্য তাদের।
বাবাদের সেই পরম আশ্রয় স্থল,
কষ্টার্জিত আয়ের অংশীদার ,
ঘর্মাক্ত সারাদিনের রক্ত পানি করা অর্জন ,
আবেগ ময় স্নেহ মমতা ,
শাসনের আড়ালে ভালোবাসা ,
কোনটাকে সন্তানেরা অশ্বিকার করবে?